রাহুলের ব্রেকফাস্ট বৈঠকের পরেই সক্রিয় বিরোধীরা, কেন্দ্রকে নিশানা করে যৌথ বিবৃতিতে সই এনডিএ শরিকেরও
বিরোধীরাও (opposition) তাঁদের দাবিতে অনড়। এদিন ১৪ টি বিরোধীদলের তরফ থেকে এক বিবৃতি জারি করে পেগাসাস (pegasus) ইস্যুতে সংসদে (parliament) আলোচনার দাবি তোলা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে সংসদে অচলাবস্থার জন্য কেন্দ্রকেই (centre) দায়ী করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিরোধীদের বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিরোধীদের বিবৃতি
বিরোধীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেগাসাস ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত রয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার সংযুক্ত বিরোধীদের কালিমালিপ্ত করছে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে। সংসদের অধিবেশন দিনের পর দিন না হওয়া প্রসঙ্গে এই বিবৃতি। বিরোধীরা বলেছে, সংসদে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তার দায় সরকারের। সরকারের একরোখা মনোভাবের কারণেই এই পরিস্থিতি। তার মেটানোর উপায় সরকারের কাছেই রয়েছে। সংসদের উভয়কক্ষে বিরোধীদের দাবি মেনে নিলেই পরিস্থিতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।

যাঁরা সই করেছেন
এই বিবৃতিতে যাঁরা সই করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, ডিএমকের টিআর বালু এবং তিরুচি শিবা, কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত এবং বিনয়ক রাউত। উল্লেখযোগ্যভাবে এই বিবৃতিতে সই করেছেন এনডিএ-র অংশ হিসেবে থাকা একটি দলও।
১৯ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই উভয় কক্ষেই বিরোধীরা পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এই দাবিতে সায় নেই সরকারের।

পেগাসাস নিয়ে আলোচনার পরেই কৃষিবিল নিয়ে আলোচনার দাবি
বিরোধীদের তরফে দাবি করে বলা হয়েছে, সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনার পরেই কৃষক বিরোধী তিনটি কালা আইন নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা।

মঙ্গলবার দিল্লিতে বসে ব্রেকফাস্ট বৈঠক
মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ডাকে কনস্টিটিউশন ক্লাবে বসেছিল ব্রেকফাস্ট বৈঠক। বৈঠকে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ও বিরোধী ঐক্য মজবুত করার ডাক দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে ১৪ টি দলের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। বৈঠকে আয়োজক কংগ্রেস ছাড়াও তৃণমূল, আরজেডি, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি, আইইউএমএল, কেসিএম, ন্যাশনাল কনফারেন্স, জেএমএম, এবং ডিএমকের একাধিক প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। সেখানে তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি ছিলেন। তবে বৈঠকে পাওয়া যায়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ এবং মায়াবতীর বিএসপিকে। বৈঠকে পেগাসাস ছাড়াও কৃষি বিল নিয়ে সরকারের ওপরে চাপ বজায় রাখার ব্যাপারে বিরোধীরা সহমত পোষণ করেছিলেন।