শচীনদের স্থলাভিষিক্ত হলেন এঁরা, রাষ্ট্রপতি জানালেন নয়া মনোনীতদের নাম
শনিবার মনোনীত চার নতুন রাজ্যসভার সদস্যের নাম ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।
শনিবার রাজ্যসভার চার নতুন মনোনীত সদস্যের নাম ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই চারজন হলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদরাম শাকাল, আরএসএস ভাবাদর্শী রাকেশ সিনহা, ভাস্কর রঘুনাথ মহাপাত্র ও ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী সোনাল মানসিং।
গত এপ্রিলে রাজ্যসভার চার সাংসদ ক্রিকেটার শচীন তেন্দুলকর, অভিনেত্রী রেখা, সমাজকর্মী অনু আঘা ও আইনজীবী কে পরাশরণ সাংসদ পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর এতদিন এই চারটি আসন খালি ছিল। রাজ্যসভার এই নয়া চার মনোনীত সদস্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দলিতদের জননেতা হিসেবেই পরিচিত উত্তরপ্রদেশের রাম শাকাল। রবার্টর্সগঞ্জ কেন্দ্র থেকে তিনি তিনবার সাংসদ পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। কৃষক থেকে শ্রমিক সমান জনপ্রিয় এই প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।
আরএসএস ভাবাদর্শী হিসেবেই পরিচিত রাকেশ সিনহা। 'ইন্ডিয়া পলিসি ফাউন্ডেশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা রাকেশ নিয়মিত কলাম লেখেন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতিলাল নেহরু কলেজে অধ্যাপনাও করেন।
পাথরের ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য জগতজোড়া নাম রয়েছে রঘুনাথ মহাপাত্র-এর। ১৯৫৯ সাল থেকে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি তাঁর প্রখ্যাত কাজগুলির মধ্যে আছে ছয় ফুট উচ্চতার সূর্যদেবতার মূর্তি, যা রাখা আছে সংসদের সেন্ট্রাল হলে। এছাড়া আছে কাঠের বুদ্ধমূর্তি, যা স্থান পেয়েছে প্যারিসের বুদ্ধ মন্দিরে।
ছয় দশকের উপর ভরতনাট্যম ও ওড়িশি নাচ নিয়ে আছেন সোনাল মানসিং। ভারতের ধ্রুপদী নৃত্যকলার এক পুরোধা ধরা হয় তাঁকে। শিল্পি, নৃত্যপরিচালক, নৃত্য শিক্ষিকা, কথক, সমাজকর্মী - বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১৯৭৭ সালে তাঁরই উদ্যোগে দিল্লিতে স্থাপিত হয়েছিল তিনি সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ক্লাসিকাল ডান্সেস।
সংবিধানের আর্টিকল ৮০-র একের এ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১২ জন পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করতে পারেন।