নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরে বড়সড় ভাঙন, বিজেপিতে যোগ চার বিধায়কের
বিজেপিতে যোগ দিলেন চার বিধায়ক। এই ভাঙনের ফলে আসন্ন নির্বাচনের মুখে মেঘালয় কংগ্রেস বিপাকে পড়ে গেল।
ফের বড়সড় ভাঙনের মুখে উত্তর-পূর্ব কংগ্রেস। এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন চার বিধায়ক। এই ভাঙনের ফলে আসন্ন নির্বাচনের মুখে মেঘালয় কংগ্রেস বিপাকে পড়ে গেল। যদিও তাঁদের সরকার বিপাকে পড়েছে, এ কথা মানতে নারাজ দল। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় ২৩ জন বিধায়ক নিয়েও নিশ্চিন্তে আছে তাঁদের সরকার, এমনই দাবি কংগ্রেসের।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগে পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের! তবু কেন জটিলতা, কী অবস্থান বিরোধীদের]
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি টার্গেট করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতকে। কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে মেঘালয়ও তাঁদের নিশানায়। গত ৩০ ডিসেম্বর কংগ্রেস বড়সড় ধাক্কা খায়। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ পাঁচ বিধায়ক কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁরা যোগ দেন ন্যাশনাল পিপপলস পার্টিতে। তার আগে তিন বিধায়ক পদত্যাগ করেছিলেন।
৬০ আসনের মেঘালয়ে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা এখন ২৩। ৬ মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে এই সরকারের। তার আগে অবশ্য ফেব্রুয়ারিতেই ভোট। কিন্তু ভোটের মুখে এই ভাঙন কংগ্রেসকে সমস্যায় ফেলতে বাধ্য। এদিন এক কংগ্রেস বিধায়ক আলেকজান্ডার এল হেক একজন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস বিধায়ক ও দুই নির্দল বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কেজি আলফন্স, প্রবীণ বিজেপি নেতা রাম মাধব ও নলীন কোহলির হাত থেকে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন। আলেকজান্ডার ছাড়াও যে তিনজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন, তাঁরা হলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস বিধায়ক সালবন সুলাই, নির্দল বিধায়ক রবিনাশ সিংকন, জাস্টিন খার।
নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই এই দলত্যাগ বলে ব্যাখ্যা করেছেন চার বিধায়ক। তাঁদের অভিযোগ, এই কংগ্রেস সরকার কোনও উন্নয়ন করতে পারেনিষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই সরকার। মেঘালয় বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, এঁরা নরেন্দ্র মোদীর মিছিলের দিনই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশেষ কারণে সেই ঘোষণা করা হয়নি। এদিন আনুষ্ঠানিকভা্বে তাঁরা যোগ দিলেন বিজেপিতে।
কংগ্রেস অবশ্য দাবি করেছে, এই দলত্যাগ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। হেক বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। পর পর তিনবার বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। তারপর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন ২০০৯-এ। কংগ্রেসের টিকিটে ২০১৩-র নির্বাচনে তিনি জয়যুক্ত হন। মুকুল সাংমার মন্ত্রিসভায় তিনি মন্ত্রীও ছিলেন। গতবছর তাঁকে নির্বাসিত করা হয়।
[আরও পড়ুন:বিজেপির চমকের অপেক্ষায় উলুবেড়িয়া, নতুন প্রার্থী কে! আত্মপ্রকাশের পর চমকে যাবেন]