মরা মোষেও রক্ষা নেই! যোগী রাজ্যে ৪ জনকে গণপ্রহার
রাজস্থানে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ফের গণপ্রহারের ঘটনা। মরা মোষ নিয়ে যাওয়ার সময় চারজনকে গণপ্রহারের অভিযোগ উঠেছে। উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে
রাজস্থানে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ফের গণপ্রহারের ঘটনা। মরা মোষ নিয়ে যাওয়ার সময় চারজনকে গণপ্রহারের অভিযোগ উঠেছে। উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনাস্থল দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোরে আলো ফোটার আগে একটি মরা মোষকে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। সেই সময় চার জনকে তারা ধরে ফেলে। মোষটিকে চারজন বিষপ্রয়োগে মেরেছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। চারজনের মধ্যে দুজন হিন্দু ও দুজন মুসলিম । চারজনকেই ব্যাপক মারধর করে গ্রামবাসীরা।
মারধরের সময় এক গ্রামবাসী ঘটনার ভিডিও করেন। পরে সেটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
যে চারজনকে মারধর করা হয়েছে তাদের একজন গ্রামবাসীদের কাছে বারবার আবেদন করে বলেন, তারা মোষ চোর নন। এক ঠিকাদারের নির্দেশে সে মরা মোষ নিয়ে যাচ্ছিল বলে দাবি করেছে। নির্দিষ্ট জায়গায় মরা মোষ পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছে সে। যদিও এই ব্যক্তির কথা বিশ্বাস করতে চায়নি গ্রামবাসীরা।
অপর একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে পুলিশের তরফে গ্রামবাসীদের কাছে চারজনকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। মারমুখী গ্রামবাসীদের সামনে সেই পুলিশকর্মীকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই আবেদন রাখতে দেখা গিয়েছে। একটা সময়ে ওই পুলিশকর্মী মোবাইলে রেকর্ডিং বন্ধ করতেও বলেন।
শেষ পর্যন্ত চারজনকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় পুলিষ। তাদের সবাইকে ৫০ কিমি দূরের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মোষের মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধার্থ ভার্মা জানিয়েছেন, চারজনই দাবি করেছে, তাদের কাছে মৃত পশু তুলে নিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স রয়েছে। সেই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এরপর হামলাকারী গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।