ঋণ শোধ করতে না পেরে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের চার সদস্যের, উদ্ধার সুইসাইড নোট
ঋণ শোধ করতে না পেরে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের চার সদস্যের, উদ্ধার সুইসাইড নোট
করোনা সঙ্কট ফের প্রাণ নিল চারজনের। পরিবারের চার সদস্য জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলায়। শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ফরিদকোটের কালের গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, যা বাড়ির প্রধান ধরমপাল লিখে গিয়েছেন। যিনি সুইসাইড নোটে লিখেছেন যে তিনি ৮ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন এবং তা শোধ করতে পারছেন না।
সুইসাইড
নোটে
৪০
বছরের
ওই
ব্যক্তি
লিখে
গিয়েছেন
তাঁর
যন্ত্রণার
কথা।
কীভাবে
তিনি
ও
তাঁর
পরিবার
এই
করোনা
ভাইরাস
লকডাউনের
কারণে
কঠিনতার
সম্মুখীন
হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত,
করোনা
ভাইরাস
সংক্রমণের
জন্য
গত
২৫
মার্চ
থেকে
দেশজুড়ে
লকডাউন
শুরু
হয়।
ফরিদকোট
এসপি
সেওয়া
সিং
মালহি
বলেন,
'ধরমপাল
ঘরের
মধ্যে
এলপিজি
সিলিন্ডার
নিয়ে
আসেন,
যখন
গোটা
পরিবার
ঘুমাচ্ছিল।
তিনি
ভেতর
থেকে
দরজা
বন্ধ
করে
দেন,
নিজের
গায়ে
ও
পরিবারের
সদস্যদের
শরীরে
পুরো
১০
লিটার
কেরোসিন
তেল
ঢালেন,
এরপর
গ্যাস
সিলিন্ডারের
রেগুলেটর
খুলে
দেন
এবং
আগুন
ধরিয়ে
দেন।
কোনও
সময়
না
দিয়েই
পুরো
ঘর
আগুনের
লেলিহানে
জ্বলতে
থাকে
এবং
গোটা
পরিবার
জীবন্ত
দগ্ধ
হয়ে
মারা
যান।’
এসপি আরও জানিয়েছেন যে ধরমপাল সুইসাইড নোটে উল্লেখ করে গিয়েছেন যে তিনি ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন কারোর কাছ থেকে এবং ওই পরিমাণ অর্থ অন্য কাউকে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ওই ৮ লক্ষ টাকা শোধ করতে পারেননি। তাই এই আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেন। যদিও এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হায়দরাবাদে ফের মুষলধারে বর্ষণ! দুর্যোগ প্রাণ কাড়ল আরও ২ জনের