ফেসবুকের মাধ্যমে দিল্লি নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল! প্রাক্তন কর্মীর দাবি ঘিরে নয়া চাঞ্চল্য
ফেসবুক থেকে বহিষ্কৃত এক কর্মীর নয়া চাঞ্চল্যকর দাবিতে ফের উথালপাতাল দেশে। কয়েকদিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল যে বিজেপি-র প্রতি পক্ষপাততুষ্ট ব্যবহার করে ফেসবুক। ব্যবসায়িক স্বার্থেই সেটা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার দাবি উঠল, দিল্লি নির্বাচনেও প্রভাব বিস্তারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ফেসবুক।
কী দাবি করে ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী?
সোফি জাং নামক সেই প্রাক্তন ফেসবুক কর্মী চাকরি ছাড়ার দিন সংস্থার অভ্যন্তরে ৬৬০০ শব্দের একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতেই সোফি জানিয়েছেন ভারত, ব্রাজিল, স্পেন, ইকুয়েডর, বলিভিয়ার ভোটে নাক গলিয়েছিল ফেসবুক। কখনও আবার ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে এমন পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট দেখেও এড়িয়ে গিয়েছে সংস্থা।
দিল্লির নির্বাচনে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা
সেফির দাবি, রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। এক হাজারেরও বেশি জন দিল্লি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। সেই পোস্ট সরাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সোফি। তবে সেই নেটওয়ার্ক কোন রাজনৈতিক দলের, তা বলতে চাননি। ফেসবুকও এই নিয়ে মুখ খোলেনি।
বিশেষ একটি দল গঠন করেছে ফেসবুক
ফেসবুকের তরফে মুখপাত্র এই বিষয়ে বলেন, 'আমরা বিশেষ একটি দল তৈরি করেছি। এ ধরনের প্রচার করা ইউজারদের রোখার জন্য বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন সেই দলে। অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কাজ করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি আমরা। স্প্যাম, ভুয়ো পোস্টও সনাক্ত করে থাকি আমরা। আমরা প্রত্যেকটি ইস্যুর পৃথকভাবে তদন্ত করি।'
পোস্ট সরানোর জন্যে ফেসবুকের সাহায্য চান কর্মী
যদিও সোফি তাঁর চিঠিতে দাবি করেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন নেটওয়ার্ক এবং তাদের পোস্ট আরও বেশি করে সরানোর জন্য তিনি ফেসবুক সংস্থার সাহায্য চেয়েছিলেন। তখন সংস্থার তরফে জানানো হয়, কর্মী সংখ্যা সীমিত। এরপর চলতি মাসে ফেসবুক থেকে বহিস্কৃত হন সোফি।
ফেসবুক-বিজেপি আতাঁত নিয়ে তোলপাড় রাজনীতি
এর আগে আমেরিকার ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল গত মাসে দাবি করেছিল, যে ভারতে ব্যবসা বিস্তারের জন্য বিজেপি-র প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে ফেসবুক। বিজেপি নেতাদের প্ররোচনামূলক পোস্ট দেখেও এড়িয়ে যায়। এরপর তা নিয়ে ভআরতীয় রৈজনীতি তোলপাড় হয়েছিল বিস্তর। বিজেপিকে এই নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিল কংগ্রেস এবং বিরোধীরা।
লাদাখ সংঘাতের মাঝেই চালু চিনের অন্য এক যুদ্ধ! কী এই হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার?