প্রযুক্তিবিদ থেকে চুরি-ছিনতাই বিশারদ! গ্রেফতার হওয়া 'অবাক' বাঙালি
এক সময়ে এক প্রযুক্তি সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ি চুরি এবং ছিনতাই-এর অভিযোগে। তিনি বাঙালি। ৩৫ বছর বয়সী মুম্বই প্রবাসী ওই বাঙালির নাম সুমিত সেনগুপ্ত।
এক সময়ে এক প্রযুক্তি সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ি চুরি এবং ছিনতাই-এর অভিযোগে। তিনি বাঙালি। ৩৫ বছর বয়সী মুম্বই প্রবাসী ওই বাঙালির নাম সুমিত সেনগুপ্ত। বছর পাঁচেক আগে পারিবারিক সমস্যার কারণে সে চাকরি ছেড়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় সুমিত সেনগুপ্ত বেতন পেতেন মাসে ২.৫ লক্ষ টাকা করে।
২০১৫-তে
যুবকের
স্ত্রী
মুম্বইয়ের
ভাসি
থানায়
গার্হস্থ
হিংসার
অভিযোগ
দায়ের
করেছিলেন।
তদন্তকারী
অফিসার
জানিয়েছেন,
নিজের
কারণেই
সে
সবসময়
চাপে
থাকে।
চাকরি
না
থাকায়
একসময়ে
রাজসিক
জীবনযাপনে
অভ্যস্থ
সুমিত
মাদকাসক্ত
হয়ে
পড়ে।
সুমিত
পুলিশের
কাছে
দাবি
করেছে,
শহরের
এক
নামকরা
কলেজ
থেকে
ইঞ্জিনিয়ারিং
কোর্স
করেছে।
পরে
পুনের
এক
প্রযুক্তি
সংস্থায়
যোগ
দেয়।
পুলিশ
সুমিত
সেনগুপ্তের
এক
সহযোগীকেও
গ্রেফতার
করেছে।
তার
নাম
নীলেশ
আগরওয়াল(২৫)।
১২
ডিসেম্বর
ভাসি
থানায়
এক
মহিলা
হার
চুরির
অভিযোগ
দায়েরের
মধ্যেই
এই
গ্রেফতার
সম্পন্ন
হয়।
স্থানীয়
পুলিশ
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
দুজন
একটি
গাড়ি
চুরি
করেছিল।
সেই
গাড়িতে
করেই
হার
ছিনতাই
করে।
সিসিটিভি
ক্যামেরা
দেখে
সুমিত
সেনগুপ্তকে
শনাক্ত
করে
পুলিশ।
এরপর
ইনফর্মারদের
সাহায্যে
ভাসিতে
সুমিতের
বাড়ি
চিহ্নিত
করে।
১৩
ডিসেম্বর
দুজনকে
গ্রেফতার
করা
হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিত সেনগুপ্ত ভাসির ফর্টিস হাসপাতালের বাইরে রাখা গাড়ি চুরি করে ৯ ডিসেম্বর। চালককে গুলি করার হুমকি দিয়ে গাড়ি চুরি করা হয়। যদিও সুমিতের সঙ্গে সেই সময় কোনও বন্দুকই ছিল না। এর তিনদিন পরেই হার ছিনতাই।
পুলিশ জানিয়েছে ভাসি থানায় ২০১৭-তে সুমিতের বিরুদ্ধে অপর একটি চুরির মামলা রয়েছে। শহরের আর কোনও থানায় আর কোনও অভিযোগ সুমিতের বিরুদ্ধে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।