নির্বাচনী রাজনীতির জন্য দেশকে টেনে নীচে নামাতে চাইছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, দাবি সীতারামনের
নির্বাচনী রাজনীতির জন্য দেশকে টেনে নীচে নামাতে চাইছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, দাবি সীতারামনের
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডি বার্তা পোস্ট করে মোদী সরকারের অর্থনীতির সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সেই সমালোচনারই এবার জবাব দিলেন দেশের বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ মনমোহনের বিরুদ্ধে 'নির্বাচনী রাজনৈতিক অভিসন্ধির' অভিযোগ তুললেন নির্মলা। চলতি ফেব্রুয়ারিতেই যিনি দেশের বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করেছেন৷
মনমোহন সিং-এর অভিযোগের কে পাল্টা দিয়ে সীতারামন বলেন, নির্বাচনী রাজনীতির কথা মাথায় রেখে মনমোহন সিং-এর মন্তব্যগুলো ভারতকে নিচে নামানোর প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এরপরই কড়া ভাষায় নির্মলা আরও যোগ করেন, 'একজন প্রধানমন্ত্রী যাঁকে মনে রাখা হয় ভারতকে একটি ভঙ্গুর অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য! দেশে যাঁকে স্মরণ করা হয় সেই কুখ্যাত অবস্থার জন্য যখন দেশে টানা ২২ মাস মুদ্রাস্ফীতি ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী যিনি একটানা ২২ মাস মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সাত বছর আগে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ২৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং এখন তা ৬৩০ বিলিয়ন ডলার৷ তাও দেশের অর্থনীতির সমালোচনা করা হচ্ছে৷ এখন হঠাৎ অর্থনীতির দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা কি পাঞ্জাব নির্বাচনের জন্য?
এরপর মনমোহনকে আরও আক্রমণ করে নির্মলা বলেন, যে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবে যখন ভ্যাকসিন বিক্রি করা হয়েছিল তখন সিং কিছু বলেননি! তিনি তখন কেন কোনও কথা বলতে পারলেন না যখন ভ্যাকসিনগুলি লাভের জন্য বিক্রি হয়েছিল পাঞ্জাবে, যেখানে তিনি আজ প্রচারে যাচ্ছেন। ডঃ মনমোহন সিং, আপনার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা ছিল কিন্তু আপনার কাছ থেকে এটা আশা করিনি। শুধু নির্বাচনী রাজনীতির জন্য দেশের একজন প্রাক্তন বিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী যিনি একজন অর্থনীতিবিদও তিনি ভারত সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন কিভাবে! এখন মহামারী সত্ত্বেও দেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকারের অর্থনীতির সমালোচনা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, কেন্দ্র সরকার গত সাড়ে সাত বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের ভুল স্বীকার করার এবং সংশোধন করার পরিবর্তে, এখনও জনগণের সমস্যার জন্য প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দোষারোপ করছে। যেটা কখনও সঠিক পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার।