রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনে কর্নাটক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া
এবার কর্নাটক থেকে রাজ্যসভার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন এইচডি দেবগৌড়া। আগামী মঙ্গলবার তিনি মননোয়ন জমা দেবেন বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে রাজ্যসভা নির্বাচনে দেবগৌড়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা সামনে আনেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁর ছেলে এইচ ডি কুমারস্বামী।
টুইট বার্তায় দেবগৌড়ার নির্বাচনী লড়াইয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন কুমারস্বামী
এই বিষয়ে এদিন একটি টুইটও করেন তিনি। বর্তমানে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অনুরোধেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কুমারস্বামী সোমবার সকালে টুইটারে লেখেন, " সোনিয়া গান্ধী ও একাধিক জাতীয় স্তরের নেতাদের অনুরোধে এইচ ডি দেবগৌড়া বর্তমানে রাজ্যসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকলের কথায় রাজি হওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ।"
ভারতের ১২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দেবগৌড়া
এদিকে হারাদানাহাল্লি দোদ্দেগৌড়া দেবগৌড়া জুন ১৯৯৬ হতে এপ্রিল ১৯৯৭ পর্যন্ত ভারতের ১২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯৪ হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত কর্নাটকের ১৪তম মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। বর্তমানে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রায় দুদশকেরও বেশি সময় পর ফের সংসদে পা রাখতে পারেন জেডি(এস)-র এই বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। এই নির্বাচনে দেবগৌড়াকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস।
৪টি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে কর্ণাটকে
বর্তমানে কংগ্রেসের তরফ থেকে রাজীব গৌড়া , বিকে হরিপ্রসাদ পাশাপাশি বিজেপির প্রভাকর কোড়ে এবং জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) নেতা ডি কুপেন্দ্র রেড্ডি কাজে অব্যাহতি নেওয়ায় কর্ণাটকে এই মুহূর্তে চারটি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা পড়ে আছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে এখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেবগৌড়া। অন্যদিকে কর্ণাটকে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২২৪। যার মধ্যে ১১৭টি আসনে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। কংগ্রেস ও জেডি(এস)-র দখলে রয়েছে যথাক্রমে ৬৮ ও ৩৪টি আসন।
২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হন
এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, বিজেপি প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হন দেবগৌড়া। এরপর তাঁর রাজ্যসভা নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও নিজেই জানুয়ারি মাসে সে জল্পনায় জল ঢেলে দেন। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেস নেত্রী তাকে কর্নাটক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বললে তিনি সে অনুরোধ ফেলতে পারেননি বলেই ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।