ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পরিবর্তে কে বসছেন পঞ্জাবের কুর্সিতে, নতুন মুখ কংগ্রেসে
পঞ্জাব কংগ্রেসের চরম কোন্দলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে শনিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি
পঞ্জাব কংগ্রেসের চরম কোন্দলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে শনিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল জাখর।
সুনীল জাখর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারণ এবার পঞ্জাবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে আপ। আপের মোকাবিলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে অ-শিখ মুখকে সামনে তুলে ধরতে চায় কংগ্রেস। কংগ্রেস চায় শিখ ও অ-শিখ সমন্বয়। এক শিখ নভজ্যোত সিং সিধুকে রাজ্যে দলের প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে। তাই একজন অ-শিখ সম্র্ভদায়ের মুখ্যমন্ত্রী চায় কংগ্রেস।
মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল জাখরের সঙ্গে লড়াই প্রতাপ সিং বাজওয়ার। তবে ভোটের আগে কংগ্রেসে সমন্বয়ের অঙ্কের পরিপ্রেক্ষিতে এগিয়ে রয়েছেন সুনীল জাখর। কংগ্রেস লেজিসলেটিভ পার্টি বা সিএলপি-র বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। শনিবার সন্ধ্যায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে পক্ষ থেকে পার্টির সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন এবং হরিশ চৌধুরী চণ্ডীগড়ে পৌঁছেছেন। হরিশ রাওয়াতও পৌঁছেছেন চণ্ডীগড়ে।
এআইসিসি শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক দলের একটি বৈঠক ডেকেছে। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সাধারণ সম্পাদক এবং পঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াত শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করেছিলেন। নির্ধারিত বৈঠক শুরুর আগে অমরিন্দর সিং ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ইস্তফা দেওয়ার আগে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন। এবং তিনি বারবার অপমান নিয়ে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত মাসে, চারজন মন্ত্রী এবং প্রায় ১২ জন দলীয় বিধায়ক পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হন। তাঁরা বলেন, অমরিন্দর সিংয়ের অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের আস্থা নেই। চারজন মন্ত্রী- ত্রিপত রাজিন্দর সিং বাজওয়া, সুখবিন্দর সিং সরকারিয়া, সুখজিন্দর সিং রন্ধাওয়া এবং চরণজিৎ সিং চন্নি দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের।
রিপোর্ট প্রকাশ, কংগ্রেস বিধায়কদের একটি অংশ দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি লিখেছিল একটি সিএলপি সভা আহ্বান করার জন্য। সেই বৈঠক ডাকা হয় নির্বাচনী কৌশল এবং ১৮ দফা কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ইস্তফা দেওয়ায় এখন নতুন মুখ্যমন্ত্রী খোঁজা শুরু হয়েছে।