অসমে ভারতীয় সেনা অফিসারকে 'বিদেশী' আখ্যা! এরপরই এনআরসি ইস্যুতে 'সুপ্রিম কোর্ট'-এর বড়সড় নির্দেশ
দেশের সেবায় তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। ভারতীয় সেনার প্রাক্তন অফিসার মহম্মদ সানাউল্লা ২০১৪ সালে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদক। তবে তিনি এখন 'ডিটেনশন ক্যাম্প'-এ থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
দেশের সেবায় তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। ভারতীয় সেনার প্রাক্তন অফিসার মহম্মদ সানাউল্লা ২০১৪ সালে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদক। তবে তিনি এখন 'ডিটেনশন ক্যাম্প'-এ থাকতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ অসমের এনআরসি তালিকা বলছে,তিনি ভারতীয় নন ,'বিদেশী'। মহম্মদ সানাউল্লার মতো একাধিক ঘটনা এনআরসি নিয়ে ক্রমেই সামনে আসতে শুরু করে দিয়েছে। যার ফলে এদিন সুপ্রিম কোর্ট বড়সড় নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট দফতরকে।
আগামী ৩১ জুলাই অসমে অনআরসি নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হতে চলেছে। তার আগে তালিকা একদম 'সঠিক' করার নির্দেশ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৫১ সালের পর এনআরসি নিয়ে প্রথমবার পর্যালোচনা হচ্ছে। যেখানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে অসমে চলে আসা উদ্বাস্তুদের নাম। সেই তালিকাতেই ফেলে দেওয়া হয় প্রাক্তন সেনা অফিসার মহম্মদ সানাউল্লার নাম। অসমের কোলোহিকাশ এলাকার বাসিন্দা ভারতীয় সেনার এই প্রাক্তন অফিসার। সানাউল্লাকে কামরূপের 'ফরেনার্স ট্রাইবুনাল' থেকে এমন ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ট্রাইবুনালে তাঁর নাম আসে , যখন তাঁকে 'সন্দেহজনক ভোটার' তালিকার আওতায় রাখা হয়। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অসমের গোয়ালপাড়ার 'ডিটেনশন ক্যাম্পে'। এদিকে, প্রাক্তন অফিসার সানাউল্লার দাবি , তাঁর কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের বৈধ নথি রয়েছে। ৩০ বছর ধরে তিনি দেশকে সেনা কর্মী হিসাবে সেবা করেছেন। এরপর তিনি সীমান্ত পুলিশের কর্মী হিসাবে নিযুক্ত হন। তারপর থেকে এখন নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করা নিয়ে হন্যে হয়ে অসম হাইকোর্টের দ্বারস্থ সানাউল্লার পরিবার।