বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ‘সঙ্গী’ র, লোকসভার আগে বড়সড় ধাক্কা বিরোধী-শিবিরে
ফের লালদুর্গে ইন্দ্রপতন। লালপার্টি ছেড়ে প্রাক্তন বিধায়কের অভিমুখ সেই গেরুয়া শিবির। ফলে সিপিএম যেমন বড়সড় ধাক্কা খেল এই দলবদলে, তেমনই বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হল লোকসভা ভোটের আগে।
ফের
লালদুর্গে
ইন্দ্রপতন।
লালপার্টি
ছেড়ে
প্রাক্তন
বিধায়কের
অভিমুখ
সেই
গেরুয়া
শিবির।
ফলে
সিপিএম
যেমন
বড়সড়
ধাক্কা
খেল
এই
দলবদলে,
তেমনই
বিজেপির
শক্তিবৃদ্ধি
হল
লোকসভা
ভোটের
আগে।
৫০
বছর
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
মানিক
সরকারের
সঙ্গী
থাকার
পর
সেই
সম্পর্ক
ছিন্ন
করে
খোয়াই
জেলার
প্রাক্তন
সভাপতি
বিশ্বজিৎ
দত্ত
নাম
লেখালেন
বিজেপিতে।
বিজেপিকে আরও অক্সিজেন
এবারই পরিবর্তন হয়েছে ত্রিপুরায়। রাতারাতি সিপিএমের ক্ষমতা খর্ব করে শক্তিধর রাজনৈতিক দল রূপে এ রাজ্যে উঠে এসেছে বিজেপি। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাশও হাতে তুলে নিয়েছে টিম নরেন্দ্র মোদী। এই অবস্থায় ২০১৯ নির্বাচনের আগে শক্তিবৃদ্ধি বিজেপিকে আরও অক্সিজেন জোগাল।
ফুঁসে উঠলেন সদ্য প্রাক্তন
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দত্ত। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। তিনি ছিলেন খোয়াইয়ে সিপিএমের দুর্গ রক্ষার অন্যতম কাণ্ডারি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন বিজেপিতে। আর বিজেপিতে যোগ দিতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁর পুরনো দল সিপিএমের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, দলেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছিল। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
উন্নয়নের জোয়ারেই দলবদল
সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতাকে পেয়ে বিজেপি যার পর নাই খুশি। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক সুনীল দেওধর বলেন, রাজ্যে উন্নয়ন চলছে, আগামীদিনে আরও উন্নয়ন হবে। রাজ্যে সেই উন্নয়নের স্রোতেই সবাই আসছেন বিজেপির দিকে। তিনি মনে করেন, লোকসভাতেও বিজেপি এ রাজ্য থেকে একশো শতাংশ সাফল্য পাবে।
টিকিট বিতর্কে ক্ষোভ
বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল দল। দাখিল করেছিলেন মনোনয়নও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি। কিন্তু তিনি আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন দল তাঁকে বাধ্য করেছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে। তাই তিনি তখন থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। এতদিনে দলত্যাগ করে সিপিএমকে মোক্ষম আঘাত দিলেন।