বলিউড সিনেমা দেখে অনুপ্রেরণা, দলিত সমাজ থেকে আইপিএস অফিসার বনে তাক লাগালেন জয়পুরের তরুণ
মনোজ বলেছেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে মানুষ হওয়ায় ছোট থেকে যে সুযোগ পেয়েছি সেটাকেই আঁকড়ে ধরেছি। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করার। এবার আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছিলেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে সরকারি চাকরি পাওয়া মানে হাতে চাঁদ পাওয়া। তা সত্ত্বেও কিছুদিন পর সেই চাকরি ছেড়ে দেন মনোজ কুমার রাওয়াত। সেটা ছিল দশ বছর আগের কথা। নিজের পছন্দমতো চাকরি পেতে ফের আইপিএসের জন্য পড়াশোনা শুরু করেন রাওয়াত। এখন সেই পরিশ্রমের ফল হাতেনাতে পেয়েছেন। ২০১৭-য় অল ইন্ডিয়া সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে আইপিএস হওয়ার পথে এগিয়ে গিয়েছেন মনোজ।
আগে যখন চাকরি ছেড়েছিলেন, তখন পরিচিত অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেন। ভয় পেয়েছিলেন। সরকারি চাকরি তো আর সহজে পাওয়া যায় না। তবে মনোজের অভিভাবক সবসময় সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন। দুদিন আগে বেরোনো ফলে দেখা যাচ্ছে মনোজের সারা ভারতে নিরিখে ৮২৪ নম্বরে নাম রয়েছে। অর্থাৎ সে আইপিএস হতে পারবে।
মনোজ বলেছেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে মানুষ হওয়ায় ছোট থেকে যে সুযোগ পেয়েছি সেটাকেই আঁকড়ে ধরেছি। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করার। এবার আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
জয়পুরের শ্যামপুরা গ্রামের বাসিন্দা মনোজ তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ। মোট তিনটি সরকারি চাকরি পেয়েও তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার আইপিএস হতে চলেছেন যা তিনি সবসময় চেয়েছেন। মনোজ বলছেন, সানি দেওলের বলিউড সিনেমা 'ইন্ডিয়ান' দেখেই অনুপ্রেরণা পান তিনি। তখন থেকেই আইপিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন।
আইপিএস হয়ে নিজের এলাকাকে সুন্দর করতে চান মনোজ। সমস্ত ধরনের অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে চান। পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে যে অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে চান তিনি। সমাজের ভালো করতে চান। নিজে দলিত সম্প্রদায়ের বলে নিচু জাতের কষ্টটা তিনি উপলব্ধি করেন। তবে আগের চেয়ে সমাজের ভাবনা বদলেছে বলেও মনে করছেন তিনি। সবমিলিয়ে আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন সত্যি করে দেখাল রাজস্থানের কোনও এক অচেনা গ্রামের দলিত কিশোর।