'অপারেশন-কমলে' অংশ নেওয়া বিধায়কদের কড়া বার্তা সিদ্দারামাইয়ার, দরজা বন্ধ কংগ্রেসের
কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকারে পতন ঘটেছে আস্থা ভোটে হেরে। সরকার পক্ষের বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরেই পতন ঘটেছে জোট সরকারের। ফের বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার পথ সুগম হয়েছে।
কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকারে পতন ঘটেছে আস্থা ভোটে হেরে। সরকার পক্ষের বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরেই পতন ঘটেছে জোট সরকারের। ফের বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার পথ সুগম হয়েছে। এই ঘটনাকে ফের একবার অপারেশন কমল বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি স্পষ্ট করে দেন, যাঁরা বিদ্রোহী হয়েছেন, তাঁরা আর পার্টিতে ফিরবেন না।
শুধু কংগ্রেসের পক্ষেই নয়, মায়াবতীও তাঁর দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন। দলের হুইপ আমান্য করে ভোটদানে বিরত থাকার জন্য বিএসপি বিধায়ক এন মহেশকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। এক টুইটার বার্তায়, বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন মায়াবতী।
কংগ্রেস শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশা করেছিল, বিদ্রোহী বিধায়করা জোট সরকারকে রক্ষা করার জন্য নমনীয় হবেন। কিন্তু তা হয়নি। ফলে ১৪ মাস পর কুমারস্বামী সরকারের পতন ঘটেছে। এমতাবস্থা বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে ফের সরকার গড়তে চলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের বিজেপি সরকারকে আস্থা ভোটের গেরো পেরোতে হবে। তবে তার আগে ভোটের ফল কোনদিকে যায়, তার উপর নির্ভর করবে অনেকটাই।
I would like to reaffirm that those who have fallen for Operation Kamala will never be inducted back to our party.
— Siddaramaiah (@siddaramaiah) July 23, 2019
Even if the sky is falling down!!@INCKarnataka
এদিন ভোটদানে বিরত ছিলেন মোট ২০ জন বিধায়ক। মোট ১৭ জন কংগ্রেস-জেডিএসের বিধায়ক, বিএসপির একজন ও নির্দল বিধায়ক দুজন ভোটদানে অংশ নেননি। ফলে কর্নাটক বিধানসভা হাউজের শক্তি হ্রাস হয়ে নেমে আসে ২০৪-এ। ম্যাজিক ফিগার দাঁড়ায় ১০৩। কংগ্রেস-জেডিএস পায় ৯৯টি ভোট, আর বিজেপি পায় ১০৫টি ভোট।
বিগত তিন সপ্তাহ ধরে কর্নাটকের ভবিষ্যত নিয়ে চাপানউতোর চলছিল। কর্নাটকে দোলাচলের খেলা অবশেষে শেষ হল মঙ্গলবার। আস্থা হারিয়ে কুমারস্বামী রাজ্যপাল বাজুভাই বালার কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করেন। এবার ইয়েদুরাপ্পার পালা। তাঁর হাতেই উঠতে চলেছে কর্নাটকের ভাগ্য।