কাজে দিল না আগাম জামিনের আবেদন! সোনাপাচার কাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার বিজয়নের প্রাক্তন মুখ্যসচিব
কাজে দিল না আগাম জামিনের আবেদন! সোনাপাচার কাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার বিজয়নের প্রাক্তন মুখ্যসচিব
ইতিহাস বলছে বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই সোনা পাচারকারীদের স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠেছে বাম শাসিত কেরল। এদিকে গত জুলাই থেকেই সোনা পাচার কাণ্ডে একাধিক সরকারি আমলা ও আমলা ঘনিষ্টদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়ে যায় কেরলের পিনরাই বিজয়ন সরকারের ভূমিকা। এদিকে এই ঘটনায় এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্যসচিব এম শিবশঙ্করকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট।
ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত জুলাই মাসেই কেরলে প্রায় ৩০ কেজি সোনা পাচারের অভিযোগ সামনে আসে। কর ফাঁকি দিতেই বেআইনি ভাবে তা পাচার কারা হচ্ছিল বলে জানা যায়। ওই মাসেই আমিরশাহী থেকে তিরুবন্তপুরম বিমান বন্দরে প্রায় ১৪ কেজি সোনা পাচার করা বলেও জানা যায়। যাতে নাম জড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পিনরায় বিজয়নের প্রাক্তন মুখ্যসচিব এম শিবশঙ্করের। তাকে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আরও একাধিক সরকারি আমলার বিরুদ্ধে।
একযোগে তদন্তে নামে ইডি, এনআইএ ও শুল্ক বিভাগ
এদিকে অভিযোগ সামনে আসার পরেই একযোগে তদন্তে নামে ইডি, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআই ও শুল্কবিভাগ। সেই সময়েই একাধিকবার জেরাও করা হয় এম শিবশঙ্করকে। যদিও এতদিন পর্যন্ত গ্রেফাতারি এড়িয়েই চলতে দেখা গিয়েছিল কেরল সরকারের এই বরিষ্ঠ আমলাকে। অন্যদিকে জেরা চলাকালীন সময়ে তার বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাকে যে দ্রুতই গ্রেফতার করা হতে পারে সেই ইঙ্গিতও পেয়েছিলেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তাই আগেভাগেই কেরল হাইকোর্ট অন্তবর্তী জামিনের আবেদন করতে দেখা যায় তাকে।
তিরুবন্তপুরমের নার্সিংহোম থেকেই গ্রেফতার
জামিনের আবেদন করলেও ঘটনার গুরত্ব বুঝে সেই আবেদন আগেই খারিজ করে দেয় কেরলের শীর্ষ আদালত। এদিকে সমস্ত রাস্তা যখন বন্ধ তখন অসুস্থতার ভান করে তিরুবন্তপুরমের ত্রিবেণী নার্সিংহোমে দীর্ঘদিন তাকে ভর্তিও থাকতে দেখা যায়। বর্তমানে সেখান থেকেই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বর্তমানে তাকে ইডি-র কোচির দফতরেই রাখা হয়েছে।
২০১৯-২০ সালে কেরল থেকে বাজেয়াপ্ত ৫৫০ কেজি বেআইনি সোনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিগত কয়েক দশক ধরেই সোনা পাচারকারীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে দক্ষিণ ভারত। শীর্ষে রয়েছে কেরল। ২০১৯-২০ সালে বেআইনি পথে চালানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেরল থেকেই বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার পরিমাণ ৫৫০ কেজির আশেপাশে। চোরাপথে আসা সোনার ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে শুধুমাত্র আমদানি শুল্কের উপরেই লাভ হয় ৫ লক্ষ টাকারও বেশি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা মূলত কর ফাঁকি দিতেই চোরাপথকেই বেছে নেয় পাচারকারীরা।
করোনা ভ্রুকুটি কাটিয়ে বিনিয়োগের নয়া গন্তব্য ভারত, দেশবাসীকে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদীর