বিজেপি ত্যাগ প্রাক্তন সাংসদের, তিন দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিলেন জোট শিবিরে
অসমের প্রাক্তন সাংসদ রামপ্রসাদ শর্মা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন বিহারে তাদেরই জোটসঙ্গী জনতা দল ইউনাইটেডে। শনিবার তিনি দিল্লিতে গিয়ে জেডিইউয়ের শীর্ষ নেত়ৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর যোগ দেন নীতীশ কুমারের দলে।
অসমের প্রাক্তন সাংসদ রামপ্রসাদ শর্মা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন বিহারে তাদেরই জোটসঙ্গী জনতা দল ইউনাইটেডে। শনিবার তিনি দিল্লিতে গিয়ে জেডিইউয়ের শীর্ষ নেত়ৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর যোগ দেন নীতীশ কুমারের দলে। তিনি বলেন, আমার কাছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মতো অনেক বিকল্প থাকলেও আমি জেডিইউ-কেই বেছে নিলাম।
বিজেপি ছেড়ে জেডিইউয়ে
জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার এই দলকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার উজ্জ্বল ভাবমূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও যেমন একটি পরিষ্কার ইমেজ রয়েছে, তেমনই নীতীশ কুমারের ইমেজও উজ্জ্বল বলে দাবি রামপ্রসাদ শর্মার।
বিজেপির প্রতি ক্ষোভ
তাঁর কথায়, জেডিইউ ছোট পার্টি হতে পারে, আমরা সবাই মিলে এটিকে বড় করে তুলব। অসমের এই প্রবীণ নেতা বলেন, একটার পর একটা ইট দিয়ে বিজেপি পার্টিটা গড়ে তুলেছিলাম। এটা দুঃখের বিষয় যে আমাকে সেই ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রামপ্রকাশ শর্মা এভাবেই তাঁর বিজেপি ত্যাগকে ব্যাখ্যা করেছেন।
৪৫ বছরের গেরুয়া সম্পর্ক ছিন্ন
গত মার্চে রামপ্রকাশ শর্মা বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ মাস। এতদিন অপেক্ষা করার পর তিনি বিহারের বিজেপিরই জোটসঙ্গী জেডিইউকে বেছে নেন। শনিবার সেইমতো জেডিইউ-তে যোগ দেন তিনি। আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদে ১৫ বছর এবং বিজেপির হয়ে ২৯ বছর দায়িত্ব পালন করার পর তিনি গেরুয়া শিবির ত্যাগ করলেন।
অপমানিত হয়ে বিজেপি ত্যাগ
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিট পাননি। টিকিট না পেয়ে দলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন এই আইনজীবী-রাজনীতিবিদ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তিনি দলের নতুন নেতাদের দ্বারা শিকার হয়েছেন। এরপর সাংসদ হয়েও তাঁর নাম অসম গোর্খা সম্মেলনে রাজ্য বিজেপি কমিটির পাঠানো প্যানেলে জায়গা পায়নি। এরপরই তিনি অপমানিত বোধ করে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।