ভোটের মুখে ঘর ভাঙল বিজেপির, মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়লেন প্রাক্তনমন্ত্রী
আভাস পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন বিজেপি সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
আভাস পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন বিজেপি সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। শনিবার বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন যশবন্ত। বিহারের পাটনায় নিজের সংগঠন রাষ্ট্রীয় মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা করেন বিজেপি ছাড়ার কথা।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী জমানা শুরু হওয়ার পর থেকেই দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ও বিদেশমন্রীপর যশবন্ত সিনহা। তাঁকে বারবার মোদী সরকারের সমালোচনা করতেও দেখা গিয়েছিল। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে দিল্লিতে সমাবেশও করেন যশবন্ত সিনহা।
তিনি এদিনও সেই বিরোধিতার রেশ টেনে বলেন, দলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বর্তমানে নিজেকে এই দলের সদস্য ভাবতে কষ্ট হয়। কেন্দ্রের সরকারও চলছে সেরকম। সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনই তার প্রমাণ। দিনের পর দিন অধিবেশন না হলেও এই সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই এই দলের সঙ্গে আর কোনওভাবেই যুক্ত থাকার মতো ইচ্ছাও নেই আমার। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।
তিনি বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাঝের ১০ বছর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে দলকে একটা জায়গায় দাঁড় করানোর পিছনে আমার ভূমিকা ছিল। কিন্তু এখন বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তা অস্বীকার করে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো দল চালাতে চাইছে। তাই নিজেকে সরিয়ে নিলাম। দলীয় রাজনীতি থেকেই সন্ন্যাস নিচ্ছি। তবে সমাজের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
এদিন যশবন্তের রাষ্ট্রীয় মঞ্চের সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস, আরজেডি-র প্রতিনিধিরা। ছিলেন বিজেপির আর এক বিদ্রোহী সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর রাষ্ট্রীয় মঞ্চে আনতে চান সবাইকে। সেই লক্ষ্যে তিনি দিল্লিতে সমাবেশ করেছিলেন। সাড়া পেয়েছিলেন সেই সভায়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে তিনি বৈঠকও করেন। মোদী বিরোধিতায় তিনি সরব হন। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও সরব হন।