বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের, ভোটের আগে অসমে ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে
বিজেপি ছাড়ার এক বছর পর ফের কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন সাংসদ রামপ্রসাদ শর্মা। সোমবার তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন। অসমের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি কংগ্রেসে ফেরার কথা জানান।
বিজেপি ছাড়ার এক বছর পর ফের জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন সাংসদ রামপ্রসাদ শর্মা। সোমবার তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন। অসমের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি কংগ্রেসে ফেরার কথা জানান। জাতীয় কংগ্রেসে যোগদানের আগে তিনি নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
বিজেপি ভেঙে কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি
২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গুয়াহাটিতে কংগ্রেসে যোগ দেবেন বিজেপি ত্যাগী প্রাক্তন সাংসদ রামপ্রসাদ শর্মা। এনআরসি নিয়ে যখন উত্তাল অসম, তখন বিজেপি নেতার দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পরের বছর অসমে বিধানসভা ভোট, তার আগে বিজেপি ভেঙে কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি অন্য ধারণারও জন্ম দেয়।
পুরনো নেতা ও নতুন নেতার দ্বন্দ্বের জেরে
বিজেপিতেও আদি-নব্য দ্বন্দ্ব এখন চরমে উঠেছে অসমেও। পুরনো নেতা ও নতুন নেতার দ্বন্দ্বের জেরে বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অনেকে। তাই রামপ্রসাদ শর্মাদের দল থেকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নির্বাচনী এলাকা তেজপুর থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বিজেপি পল্লবলোচন দাসকে টিকিট দিয়েছিল। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ যোগ দিলেন কংগ্রেসে
একবছর অপেক্ষার পর বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ যোগ দিলেন কংগ্রেসে। তিনি বলেন, অসমে কংগ্রেসের বি টিমে পরিণত হয়েছে বিজেপি। তাই আমি ভেবেছি থাকলে কংগ্রেসের এ টিমে থাকব, কেন অযথা বি টিমে থাকতে যাব। তাঁর বিশ্বাস, পরের বছর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অসমে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসবে।
অসমে বিজেপির ভিত তৈরি করেছি
তিনি বলেন, আমরা অসমে বিজেপির ভিত তৈরি করেছি। এখন দেখছি, অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীরা মন্ত্রী হচ্ছেন, গুরুত্ব পাচ্ছেন। তাঁরা আরএসএসের আদর্শ ও দর্শন অনুসরণ করেন না। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারি বাজপেয়ী, এল কে আদবানিকে অনুসরণ করেন না। কোনও নতুন বিজেপি নেতার নাম তিনি নেননি।
দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা বিজেপিতে এখন গুরুত্ব পান না
তিনি দুঃখ করে বলেন, অসমে দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা বিজেপিতে এখন গুরুত্ব পান না। প্রাক্তন সংসদ সদস্য রামেন ডেকা, রাজেন গোহাইন, বিজয় চক্রবর্তী, তিনি নিজে এবং ছয় লক্ষ পুরাতন তৃণমূলস্তরের কর্মীরা নব্য বিজেপিদের কাছে ব্রাত্য। উপেক্ষার পাত্র হয়ে দলে থাকেন কী করে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা।