২ মাসের জন্য ভুলতে হবে ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপ, আজব শর্তে জামিন পেল ১৮ বছরের পড়ুয়া
না ফেসবুক, না হোয়াটসঅ্যাপ–ইনস্টাগ্রাম, ২ মাসের জন্য সম্পূর্ণ বিশ্রাম সোশ্যাল মিডিয়াকে। সেই শর্তেই জামিন দেওয়া হল ১৮ বছরের এক পড়ুয়াকে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রকে জানানো হয় যে 'ডিজিটাল ডিটক্সিফিকেশন’ এর জন্য তাকে দু’মাসের বিশ্রাম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিতে হবে।
একক বেঞ্চ বিচারপতি আনন্দ পাঠক এমনই নির্দেশ দিয়েছেন হাইস্কুল উত্তীর্ণ হরেন্দ্র ত্যাগীকে। আদালতের পক্ষ থেকে তার ডিজিটাল ডিটক্সিফিকেশন সম্পর্কিত মাসিক রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে এবার যেন হরেন্দ্র তাঁর প্রি–এগ্রিকালচার (প্যাট) নিয়ে পড়াশোনা সমাপ্ত করেন।
আবেদনকারীর আইনজীবী সুশান্ত তিওয়ারি জানিয়েছেন যে হরেন্দ্র করোনা ভাইরাস লকডাউনের সময় তামাক জাত পদার্থ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় এবং ভিন্ড জেলার এক দোকানদারের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হয়। এরপর পুলিশ হরেন্দ্রকে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারাগুলির মধ্যে স্বেচ্ছায় আঘাত ও অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়। ২৪ জুন পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে রাখা হয়। তিওয়ারি আদালতকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর মক্কেল এই ঘটনার থেকে কঠোরভাবে একটি পাঠ শিখেছে এবং কোভিড–১৯ মহামারী বিবেচনা করে, মামলাটি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হোক। শুনানির তর্ক–বিতর্কের পর বিচারপতি পাঠক অভিযুক্তকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিতে মঞ্জুর হয়।
আদালত জানিয়েছে যে অভিযুক্তকে সব সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং আগামী ২ মাস সে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল ডিটক্সিফিকেশন–এর জন্য থাকতে পারবে না। তাঁর ডিজিটাল ডিটক্সিফিকেশন সম্পর্কিত মাসিক রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে এবং যে কোনও ধরনের ভুল তাকে জামিনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। এরপর অভিযুক্ত পড়ুয়াকে ৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।