বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা সুষমার, জানালেন আত্মরক্ষার স্বার্থেই হামলায় বাধ্য হয়েছে ভারত
সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক নিয়ে অন্য দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্য দলের নেতাদের এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক নিয়ে অন্য দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্য দলের নেতাদের এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি নাকি জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি ক্যাম্প ধ্বংস করার জন্য ভারতের এই হামলা যে একটা নন-মিলিটারি এবং প্রি-এমটিভ অ্যাটাক সে বার্তাই দেওয়া হয়েছে। সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন তিনি আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইকেল পম্পেও-র সঙ্গে কথা বলেছে। এছাড়াও চিন, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন সুষমা।
সর্বদলীয় বৈঠক সেরেই চিনের উদ্দেশে পাড়়ি জমান সুষমা। সেখানে বুধবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আছে। যাতে ভারত ও চিন ছাড়াও থাকছে রাশিয়া। এই তিন দেশের একটি গ্রুপ আছে যার নাম আর-আই-সি। তিন দেশের নানা বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকেও ভারতের দুই নম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এদিকে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খবর পাওয়ার পর থেকেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেশকিছু দেশ।
|
ভারতের পাশে ফ্রান্স
ফ্রান্সের মিনিস্ট্রি অফ ইউরোপ অ্য়ান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাস থেকে দেশের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারতের দায়বদ্ধতাকে বুঝতে পারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় পাকিস্তানকে সে দেশে চলা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে বলতে হবে।' এমনকী তিনি এও বলেন যে, সন্ত্রাস নির্মূলে ভারতের পাশেই রয়েছে ফ্রান্স। তবে, এয়ার স্ট্রাইক হয়ে যাওয়ার পরে নতুন করে যাতে অশান্তি না বাড়ে সে কারণে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকে ইশান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স।
|
ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া
ইউরোপিয় ইউনিয়নের মুখপাত্র মাজা কোসিজানিক জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা প্রতিটি ঘটনাকেই অত্যন্ত কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দুই দেশের সঙ্গে কথা হয়েছে।
|
সতর্ক অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী মারিসে পাইন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের উচিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে নেওয়ার। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় জইশ জড়িত। একথা জানার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানের উচিত ছিল ব্যবস্থা নেওয়ার।