
'সীমান্ত রেখা বদলের প্রশ্নই ওঠে না' চিনকে ইঙ্গিত করে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রীর
সীমান্ত বদলের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। মোদী সরকারের ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমনই বার্তা দিয়েছেন দেশের বিেদশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েক বছর ধরে লাদাখ নিয়ে চিনে সঙ্গে বিবাদ চলছে ভারতের। লাদাখ সীমান্ত দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিনা ফৌজ।

আগ্রাসী চিন
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন। ভারতের একাধিক সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে চিনা ফৌজ। শুরুটা হয়েছিল ডোকালা দিয়েছে। সেখানে চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার প্রবল সংঘর্ষ হয়। সেখানে পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিক হওয়ার পরে শুরু হয় লাদাখ নিয়ে অশান্তি। চিন ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি এখানে মানতে নারাজ। বারবার সেনা তৎপরতা শুরু করছে বেজিং। লাদাখ সীমান্তে একাধিকবার ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা ফৌজের সংঘর্ষ হয়েছে। একাধিক ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তারপর আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু চিন সেনা তৎপরতা জারি রেখেছে।

সীমান্তের প্রশ্নে আপোস নয়
মোদী সরকারের ৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বার্তা দিয়েছেন। ভারত সীমান্ত নিয়ে কোনও আপোস করবে না। এক প্রকার চিনকে ইঙ্গিত করেইএই বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। বারবার চিনা ফৌেজর লাদাখের উপরে নজরদারি কোনও ভাবেই যে ভারত বরদাস্ত করবে না সেটা এক কথায় আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন ভারত শীঘ্রই এনএসজি-তে যুক্ত হবে। তার চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চিন বারবারই ভারতে নিউক্লিয়ার শক্তিধর দেশগুলির গ্রুপে রাখার ক্ষেত্রে বিরোধিতা করে চলেছে।

সুরক্ষিত সীমান্ত
এদিন বিদেশমন্ত্রী আরো বলেছেন ভারতের সব সীমান্তই ভীষণভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই বিরোধীরে সীমান্তে চিনের আগ্রাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস বারবার অভিযোগ করেছ অরুণাচল এবং লাদাখ সীমান্ত চিনা ফৌজ ভারত ভূখণ্ডে পা রেখেছে। যদিও বারবার মোদী সরকার কংগ্রেসর এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। জয়শঙ্কর বিরোধীদের সেই অভিযোগের কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ভারতের সব সীমান্তই সুরক্ষিত রয়েছে।

অরুণাচলে আগ্রাসন চিনের
কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশে আগ্রাসন বাড়িয়েছে বেজিং। কয়েক মাস আগেই অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত থেকে ২ ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করেছিল চিনা ফৌজ। দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁদের মুক্ত কররা হয়। যদিও ভারতীয় নাগরিকদের অপহরণের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে চিন। তখনও আলোচনার মাধ্যমেই ভারতীয় নাগরিকদের চিনা ফৌজের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত।
রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষের মুখে, জানেন কীভাবে নির্বাচিত হবেন নতুন রাষ্ট্রপতি?