গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনের সঙ্গে সম্পর্ক চিড় খেয়েছে, মানলেন জয়শঙ্কর
জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার যে সংঘর্ষ হয়েছিল তা ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলেছে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে। সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এশিয়া সোশ্যাইটির ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। এলএসিতে শান্তি এবং সংযম বজায় রেখেই গত ৩০ বছর ধরে ভারত-ও চিনের মধ্যে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে দুই দেশের মধ্যে একাধিক মৌ স্বাক্ষরিত হয়। কীভাবে সীমান্তে সেনা মোতায়েন থাকলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে।

ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি
ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে সেকথা মানলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজ ও ভারতীয় সেনার যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছিল তারপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। সেই সংঘর্ষ দুই দেশেরই সেনার প্রাণ গিয়েছিল। সেই ক্ষত এখনও তাজা।

৩০ বছরের সুসম্পর্কে আঘাত
গত ৩০ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে চিনের একাধিক ক্ষেত্রে চুক্তি হয়ে আসছে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য দুই দেশই সেনা মোতায়েন নিয়ে একাধিক চুক্তি করেছে। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকার সংঘাত সেই সুসম্পর্কের বন্ধন আলগা করেছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারপরেই চিন আগ্রাসী আচরণ শুরু করেছে। লাদাখ সীমান্তের একাধিক পয়েন্টে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দুই দেশের সেনা। এমনই উদ্বেগের কথা শুনিয়েছেন জয়শঙ্কর।

লাদাখে সেনা বাড়াচ্ছে বেজিং
লাদাখ সীমান্তে শান্তি আলোচনা চলার মাঝেই সেনা তৎপরতা শুরু করেছে বেজিং। লাদাখের একাধিক পয়েন্টে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। ২০১৮ সালেও উহান সামিটের পর চেন্নাইয়ে দুই দেশের প্রধান মুখোমুখি আলোচনায় বসেছেন। কিন্তু হত কয়েক মাসে সেই সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেেকছে। এখন আর সেই আলোচনায় বসার কোনও সুযোগ তেমন ভাবে দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

চিনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন
চিন হঠাৎ করে কেন আগ্রাসী হয়ে উঠল তা নিয়ে তা এখনও স্পষ্ট নয় ভারতের কাছে। চিনের আচরণে ভারত যে অবাক হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বিরোধীরা বারবারই এরজন্য মোদী সরকারের বিদেশনীতীকেই দায়ী করেছেন। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।