বাংলো বানাবেন বলে সোসাইটির বাসিন্দারের উচ্ছেদের অভিযোগ আমিরের বিরুদ্ধে
বান্দ্রা পালি হিলের ভার্গো কো-অপারেটিভ সোসাইটির দুই সদস্য অভিযোগ তুললেন, ওই সোসাইটির একটি বড় অংশ জোর করে নিয়ে তাতে নিজের বাংলো বানানোর পরিকল্পনা করছেন আমির খান।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, বছর ৮৭-র ডাঃ পামেলা দে শাহ ও তাঁর মেয়ে ডাঃ জেনেভা দে শাহ অভিযোগ তোলেন, সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটি বাসিন্দা ভুল পথে চালিত করছে এবং সোসাইটির ৬০ শতাংশ জায়গা অভিনেতা আমির খানকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাধ্য করছে।
মা-মেয়ের অভিযোগ, আসলে প্রস্তাবটি আমির খানেরই। সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটিও তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করে তাঁর এই আবদারে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছে। আমির চাইছেন জোর করে সোসাইটির বর্তমান বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে। এমনকী তাদের নতুন বাড়ি খুঁজে নিতেও বলে দিয়েছেন আমির। গত ১১ মার্চ নিজের অভিযোগ সোসাইটির ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিতভাবে জানান পামেলাদেবী।
সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটি মা-মেয়ের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোসাইটিতে দুটি ৪ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং রয়েছে। একটি মারিনা অ্যাপার্টমেন্ট ও অন্যটি বেল্লা ভিস্তা। দুটি বিল্ডিংয়েই সবেচেয়ে নিচের তলাটা গ্যারেজ ও বাকি তিন তলায় ৪টি করে মোট ১২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মধ্যে আমিরর মারিনায় ২টি ও বেল্লা ভিস্তায় ১টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০১১ সালে আমির খান প্রথম এই সোসাইটির একটি অংশ অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেন।
মারিনায় পামেলাদেবীর ২টি ফ্ল্যাট ও বেল্লা ভিস্তায় ২টি গ্যারাজ মেয়ে জেনেভার নামে। মোট ৩৬,২০৭ বর্গফুট জায়গা বিশিষ্ট এই সোসাইটির মধ্যে ২০,০০০ বর্গফুট জায়গা আমির খান কিনে নেওয়ার প্রস্তাব রাখে কমিটির কাছে। এবং প্রতি বর্গফুটের জন্য ৭০,০০০ টাকা দিতেও তিনি রাজি ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। কিছু সদস্যও এই প্রস্তাবে রাজি হন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে সদস্যরা রাজি ছিলেন না তাদের জন্য বাকি জায়গার মধ্যে তাদের নতুন ফ্ল্যাট বানিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিনেতা। যদিও পামেলাদেবী ও তাঁর মেয়ের কথায়, প্রকল্পটা বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের নয়, এটা শুধুমাত্রই আমির খানের কাছে সোসাইটির ৬০ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়ার ছিল। কারণ এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসনের জন্য যে ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তার জন্য কোনও আর্কিটেক্ট ডাকা হয়নি, বা বিল্ডিং তৈরির জন্য কোনও টেন্ডারও ডাকা হয়নি।
যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি সোসাইটির সম্পাদক কোন্দন সবলোকের। তিনি বলেন, সোসাইটির অনেক সদস্য চান না এখানে উন্নয়ন হোক। সেই কারণেই এ ধরণের অভিযোগ তুলে উন্নয়নে বাধা আনতে চাইছেন। সোসাইটির এই প্রকল্পের জন্য সদস্যদের মত নেওয়া হয়েছিল। এবং স্বচ্ছ পদ্ধতিতেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। সমগ্র প্রক্রিয়াটি ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।