
নবী বিতর্কের আঁচ , দর্জির খুন ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় রাজস্থানে বন্ধ ইন্টারনেট
নবী বিতর্ক নিয়ে দেশে আর কোথাও তেমন ক্ষোভ , বিক্ষোভের চিত্র দেখা যায়নি। তবে রাজস্থানে আবার দেখা দিয়েছে এই সমস্যা। উদয়পুরে একজন দর্জি খুন হয়। সেই ঘটনার পরে পুরো রাজস্থান রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে, ইন্টারনেট ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ করা হয়েছে এবং এক মাসের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

লাগু হয়েছে কারফিউ
সরকার উদয়পুর ও এর আশেপাশে ৬০০ অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং শহরের কিছু অংশে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত কানহাইয়া লাল নামে এক দরজিকে একাধিকবার ছুরি দিয়ে মেরে খুন করার পর। জানা গিয়েছে তার দোকানে এসে দুই ব্যক্তি আচমকা তার উপর হামলা চালায়। তার গলা কেটে ফেলে।

ঠিক কী ঘটেছিল ?
খুনের একটি ভিডিও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ডিডিও করে হামলাকারীরাই। কানহাইয়া লালকে খুনের পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দেয়। সবই দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। ভিডিওটি প্রথম থেকেই করা হচ্ছিল। দেখা গিয়েছে যে ওই দর্জিকে একটি পোশাকের জন্য আক্রমণকারীদের একজনকে মাপ নিচ্ছিল। সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। আচমকাই শুরু হয় হামলা। একাধিকবার ছুরি দিয়ে মারা হয়, তারপর গলা কেটে দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর স্বাভাবিকভাবেই উদয়পুর এবং রাজ্য জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য নেতারা শান্তির আবেদন জানান।

সরকার কী বলছে ?
গেহলট বলেছেন, "আমি সকলের কাছে এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে পরিবেশ নষ্ট না করার জন্য আবেদন করছি। ভিডিওটি শেয়ার করার মাধ্যমে, সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধীর উদ্দেশ্য সফল হবে।"।ভিডিওটি শেয়ার না করার অনুরোধও করেছে পুলিশ। পুলিশ অফিসার হাওয়াসিং ঝুমারিয়া সংবাদমাধ্যমকে ভিডিওটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

নূপুর শর্মা বিতর্ক
জ্ঞানব্যাপী ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিতর্কের সময় নবী মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা। তাঁকে দ্রুত দল বরখাস্ত করে। দল বরখাস্ত করলেও এতে বিতর্কিত মন্তব্যের আঁচ পড়েছিল দেশের বাইরে। আগে মুসলিম প্রধান দেশগুলি ভারতকে নানাভাবে বয়কটের কথা বলা হয়।
ধীরে ধীরে সেই আঁচ ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। হিংসার ছবি দেখা যায় প্রত্যেক রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেও এর আঁচ এসে পড়ে। হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে এই সমস্যা শুরু হয়েছিল। তিন দিন ধরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা যায় সেখানে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, হাওড়া জেলার ইন্টারনেট। পরে একই ঘটনা দেখা যায় মুর্শিদাবাদ, নদীয়াতেও। অনেক দেরীতে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে পুরো রাজ্যের পরিস্থিতি।
সময়ের অপেক্ষা, পিএসি চেয়ারম্যান হতে চলেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণা কল্যাণী