এনআরসি নিয়ে জবাব মোদীর! বিশ্বাস হারিয়েছেন মমতা, আর যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বাস হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবারের জন্য এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিশ্বাস হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবারের জন্য এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে এনআরসি নিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ ও রক্তস্নানের আশঙ্কার কথা বলেছিলেন। তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যাঁরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারান, জনগণের বিশ্বাস হারানোর আশঙ্কা করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানের ওপর যাঁদের বিশ্বাস থাকে না, তাঁরাই গৃহ যুদ্ধ, রক্তস্নান কিংবা দেশকে টুকরো টুকরো করার কথা বলেন। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের নাড়ি থেকে এইসব মানুষের সংযোগ বিচ্ছিন্ন বলেও কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। অসমে এনআরসি থেকে সব থেকে বেশি সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রধানমন্ত্রীর এইসব বক্তব্য তাঁকে উদ্দেশ্য করেই। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এনআরসি বিতর্ক নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন।
গতমাসের শেষে এনআরসি-র খসড়া প্রকাশিত হয়। তাতে বাদ পড়ে অসমের প্রহায় ৪০ লক্ষ বাসিন্দার নাম। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বাঙালি।
এনআরসি নিয়ে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের কোনও নাগরিককেই দেশ ছেড়ে যেতে হবে না। পরবর্তী পর্যায়ে নাম বাদ পড়ার অভিযোগ নিয়ে সব ধরনের সুযোগ নাগরিকদের দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এনআরসি-এ নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারাদের এখনই দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে, এমন কোনও ঘটনা এখনও ঘটেনি।
ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক অ্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা রাজনীতির বিষয় নয়। এটা শুধুমাত্র মানুষের বিষয়। কেউ কেউ বিষয়টিকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করছেন বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে দোষারোপ করেছেন।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অভিযোগ, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে কয়েক দশক ধরে কোনও উচ্চবাচ্চ করেনি।