গত ছয় বছরে এই প্রথমবার খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সর্বাধিক, বাড়ছে শাক–সবজির দাম
নভেম্বর মাসে দেশের খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার গত ৭১ মাসে সর্বাধিক। যা পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং গত তিনমাসের রেকর্ডকে ভাঙতে সহায়তা করেছে।

সোমবার কর্মার্স ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রক এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত করে জানিয়েছে যে পাইকারি মূল্য সূচক দ্বারা পরিমাপিত মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসে বার্ষিক ০.৬% বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা আগের মাসের চেয়ে ০.২% বেশি, তবে গত বছরের চেয়ে এই হার রেকর্ডকৃত ৪.৫% এর চেয়ে কম ছিল। নভেম্বরে এই মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্য। যা বার্ষিক ১১.১% বেড়েছে নভেম্বরে। গতমাসে যা ছিল ৯.৮%। আগের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির আওতায় থাকা খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বরে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে, যা গত ছ’বছরে হয়নি। যার ফলে শাক–সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ বছর অসমের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি হওয়ায় নভেম্বরে পেঁয়াজ মহার্ঘ হয়ে যায়। নভেম্বরে পেঁযাজের মূল্যের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল ১৭২.২৩%, যা আগের মাসেই অক্টোবরেই ছিল ১১৯.৮%। একই হাল সবজিরও। নভেম্বরে সবজির মূল্য বেড়ে হয়েছে বার্ষিক ৪৫.৩%, অক্টোবরেই যা ছিল ৩৮.৯১%।
উৎপাদিত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি তৃতীয় মাসে (–) ০.৮% হারে হ্রাস পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন যে, উৎপাদনের অভাবেই এই মুদ্রাস্ফীতি মূলত বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনে। কেয়ার রেটিংসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিস বলেন, 'আমরা প্রত্যাশা করছি যে ডাব্লুপিআইয়ের মূদ্রাস্ফীতি এ বছর ১ শতাংশ হলেও কম হবে। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।’