মাংসের ক্ষেত্রে 'হালাল' শব্দটি নিয়ে কেন্দ্রের নয়া পদক্ষেপ! তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
মাংসের ক্ষেত্রে 'হালাল' শব্দটি নিয়ে কেন্দ্রের নয়া পদক্ষেপ! তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
'অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি' কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রেড মিটের ম্যানুয়েল থেকে 'হালাল' শব্দটি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শব্দ নিয়ে তারা নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। প্রসঙ্গত, 'হালাল' শব্দটি নিয়ে দক্ষিণপন্থীদের একাধিক সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টের পরই এমন ঘটনা দেখা যায়।
এপিইডিএ-র নয়া নির্দেশিকা জারির আগে, ফুড সেফটি ম্যানেডমেন্টের মান ও গুণ নিয়ে যে তথ্য জারি করা হত, তাতে হালাল করে জবাই করা হয় বলে লেখা হত। সেক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বিষয়ে নজর দেওয়া হত বলেই এমন তথ্য প্রকাশিত করা হত। তবে এখন তা পরিবর্তিত হয়ে মাংস যে দেশ থেকে আসছে , সেদেশের নিয়মে মাংস কাটা হচ্ছে, তা লেখা থাকবে বলে খবর। এদিকে, হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীরা হালাল মাংস খাননা। ফলে রেস্তোরাঁগুলিকে এখন থেকে লিখতে হবে, যে মাংস তারা বিক্রি করছে তা হালাল ননা ঝটকা দিয়ে কাটা হচ্ছে , তার বিবরণী।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এবার থেকে মাংসের দোকানেও লিখে রাখতে হতে পারে কীভাবে মাংস কাটা হচঅছে, তার বিবরণী। এমন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি, সমস্ত মাংস বিক্রেতাদের যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াই মর্মে ব্যাপক তোলপাড়। অনেকেই এই নিয়ে মোদী , শাহের বিরোধিতা করলেও , আবার অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া । হিন্দু জাগৃতি মঞ্চ বিষয়টিতে রীতিমতো স্বাগত জানিয়েছে। মুখ খুলেছেন বিখ্যাত লেখক হরিদর এস সিক্কা। পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
অন্যদিকে , সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বিষয়টিকে ইসলাম বিরোধী বলে ,সরকারের প্রবল সমালোচনায় নেমেছে। এতে ভারতের সঙ্গে আলব দেশগুলির সম্পর্ক কী থাকতে পারে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আবার অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, হালাল সার্টিফিকেশন আবশ্যিক না হওয়ায় সাম্যতার রাস্তায় হেঁটেছে ভারত।
মহামারির পর অপুষ্টিতে বাড়বে যক্ষ্মা রোগ, কোভিডের কারণে নিজের লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে সরছে ভারত