চেষ্টাতে মিলছে না ফল, চোরাশিকারে দেশে মৃত্যু ১৫৪টি বাঘের
ভারত ১৫৪টি বাঘ হারিয়েছে বেআইনি শিকারের জন্য। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। বাঘ বাঁচানোর জন্য এত চেষ্টা করছে কিছু সাধারন সংস্থা, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, কিন্তু তারপরেও এত বাঘের এমন ভাবে মৃত্যু তাঁদের সমস্ত চেষ্টায় যে জল ঢেলে দিচ্ছে তা বলা যেতেই পারে। ভারতের ২৯৬৭টি বাঘ রয়েছে। সারা বিশ্বে যা সর্বোচ্চ। ট্রাফিক ইন্ডিয়ার অফিস জানাচ্ছে যে এমন এর বাইরে মারা গিয়েছে ১৫৪টি বাঘ।
বাঘের মৃত্যু
ভারতে সাধারণ ভাবে মারা গিয়েছে ৫৪৭টি বাঘ। এই মৃত্যু হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। এর মধ্যে ১৫৪ টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে শিকার করে। বাঘ মেরে বিক্রি করা হয়েছে বাঘের ছাল,নখ। এনটিসিএ যারা পরিবেশ , বন এবং পরিবেশ পরিবর্তন যারা কাজ করে তারা ওই তথ্য দিয়েছে।
বাঘ কীভাবে মারা গিয়েছে?
জানা গিয়েছে ওই ১৫৪টি বাঘের মধ্যে মেরে ফেলা হয়েছে ৫৫টিকে, চোরা শিকার হয়েছে ৩৩টি, বিষক্রিয়াতে ২৫টি, বিদ্যুতের তার লেগে ২২টি, অন্যান্য কারণে ১২টি এবং গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৭টি'র।
বাঘের খাবার
বাঘ সহসা বাধ্য না হলে খাঁচার মতো আবদ্ধ জায়গায় ঢুকতে সাহস করে না। এমনকি মানুষখেকো হলেও না। তবে আক্রান্ত বাঘ খুব মারমুখী হয়ে থাকে। বিভিন্ন নিরামিষাশী, বুনো বা গৃহপালিত প্রাণী (চিত্রা হরিণ, সম্বর হরিণ, মহিষ, গৌড়, বুনো শূকর, বানর ইত্যাদি, সুযোগ পেলে গরু- ছাগল,কুকুর ইত্যাদি) বাঘের খাদ্য। তবে খিদে পেলে বাঘ চিতাবাঘ,কুমির, ভাল্লুক বা অজগরকেও ছাড়েনা। এমনকি হাতি ও গণ্ডারের বাচ্চার উপরো বাঘ হামলা করে। কিছু সময়ে বাঘ নরখাদক হয়ে যায়। বাঘ ঘন ঝোপে লুকিয়ে আচমকা হামলা করে শিকার করে। মুলত জলাশয়ের কাছে বাঘ লুকিয়ে থাকে।
শিকার
বাঘ রাতেই বেশি শিকার করে। বড় প্রাণী শিকারের সময় বাঘ শ্বাসনালি কামড়ে ধরে এবং সম্মুখপেশীর সাহায্যে শিকারকে আঁকড়ে ধরে মাটিতে আছড়ে ফেলে। শিকার দমবন্ধ হয়ে না মরা পর্যন্ত বাঘ গলা আঁকড়ে ধরেই থাকে। বাঘেরা ওৎ পেতে শিকার করে। এরা নিঃশব্দে শিকারের পিছু নেয়,আর অতর্কিত আক্রমণ করে। এদের গতিবেগ ৫০-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হয়, তবে এ গতিবেগ খুব অল্প সময়ের জন্য। এরা পানিতেও শিকার করতে পারে, এদের সাঁতারের গতিবেগ ৩২ কি.মি./ঘণ্টা যা অলিম্পিক এর সাঁতারুদের থেকেও বেশি।