কাশ্মীরেও বিজেপি সরকার চান মোদী, অফুরন্ত উৎসাহে ময়দানে
ঝাড়খণ্ডের সঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা ভোট। হিন্দু-অধ্যুষিত জম্মুতে বরাবরই বিজেপির প্রভাব রয়েছে। কিন্তু শুধু জম্মুতে দাপট দেখালেই হবে না। সম্ভব হবে না রাজ্যে সরকার গড়া। আর তাই মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকায়ও জিততে হবে। জম্মুর বিজেপি নেতারা এ ব্যাপারে হাল ছাড়লেও নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা অন্য। তাঁর যুক্তি, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়বে, এটাও বড় বড় পণ্ডিতরা মানতে চাননি। কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে মুসলিম ভোটের একটা অংশ বিজেপির দিকে আসায়। সুতরাং, কাশ্মীরে বিজেপির সম্ভাবনা নেই, এই তত্ত্ব তিনি মানতে নারাজ। তাঁর মতে, চেষ্টা না করে ব্যর্থ হওয়ার চেয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া বরং অনেক ভালো।
৮৭টি আসন বিশিষ্ট জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৪টি আসন। তাই 'মিশন ৪৪'-কে মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, তিনি শুধু কাশ্মীরেই ১২টি জনসভা করবেন। পাশাপাশি, ছোট দলগুলির সঙ্গে মিলে একটি মহাজোট গড়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। ইতিমধ্যে পিপলস কনফারেন্সের সঙ্গে কথা এগিয়েছে। এই দলটির নেতা সাজ্জাদ লোন দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে। আর স্ট্র্যাটেজি সাজাতে নরেন্দ্র মোদীকে সহায়তা করছেন তাঁর সেনাপতি অমিত শাহ।
কাশ্মীর উপত্যকায় মুসলিম ভোট পাওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরি পণ্ডিত ও শিখদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। কারণ পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নিশানাই হল কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে মূলত পাঞ্জাবি সম্প্রদায়। কিছুদিন আগে ১৯৮৪ সালে শিখ দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করাটা এই ছকের অঙ্গ বলে মনে করছে রাজনীতিক মহল।
এতদিন কাশ্মীরের রাজনীতি তিনটি দলকে ঘিরে আবর্তিত হত। কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স আর পিডিপি। এ বার সেখানে নিজেদের উপস্থিতি প্রমাণ করতে চায় বিজেপি।