"দুশমন শিকার, হম শিকারি", এই মন্ত্র জপেই সীমান্তে জঙ্গি মোকাবিলা ভারতীয় সেনার
শ্রীনগর, ১২ অক্টোবর : ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা সাম্প্রতিক সময়ে একেবারে চরমে উঠেছে। উরি হামলার পরে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। ফলে ফের পাল্টা প্রত্যাঘাত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তানও। [২০১৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান সীমান্ত পুরোপুরি সিল করবে কেন্দ্র]
সেদেশের সরকার ও সেনা জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ মদতদাতা বলে রাষ্ট্রসংঘের দরবারে বারবার অভিযোগ তুলেছে ভারত। এমনকী কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে সারা বিশ্বের সামনে একঘরে করতেও অনেকাংশে সমর্থ হয়েছে ভারত। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি ঢুকিয়ে ফের ভারতে নাশকতার ছক কষছে ওপারের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। [উর্দুতে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি নিয়ে পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা পায়রা আটক]
এই অবস্থায় সীমান্ত আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে ততদিন সীমান্ত একেবারে আগলে রেখে তৎপরতার সঙ্গে প্রহরা দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) তাঁদের মন্ত্র "দুশমন শিকার, হম শিকারি"। [ভারত সার্জিক্যাল অ্যাটাক করেছে, প্রমাণ দিলেন খোদ পাকিস্তান পুলিশের এসপি]
সার্জিক্যাল অ্যাটাকের পরে ভারতীয় সেনার মনোবল দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই অ্যাটাকের পরে পাকিস্তান অন্তত ২৫ বার সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি চালিয়েছে। তবে ভারতীয় সেনাও তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। এর পিছনে রয়েছে "দুশমন শিকার, হম শিকারি"- নামক টোটকা। যা সীমান্তে বিভিন্ন জায়গায় লিখে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। [ভারত-পাক সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের রমরমা ব্যবসার পর্দা ফাঁস গোয়েন্দা জেরায়]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা জওয়ান জানিয়েছেন, লক্ষ্মণরেখার ওপারে থেকে শত্রুরা আমার শিকার, আমি শিকারি। কেউ সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে চাইলেই আমরা এভাবেই কাজ করব।
সীমান্তে রাজৌরি জেলার নৌশেরা সেক্টরের ওপারেই রয়েছে পাক অধীকৃত কাশ্মীরের ভীমভের জেলা। সেখানেই ভারতীয় সেনা সার্জিক্যাল অ্যাটাক চালিয়ে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুড়িয়ে দেয়। সবুজে ঘেরা এই উপত্যকাকে পাকিস্তানি সেনা টার্গেট করেছে বলে খবর। সেজন্য সীমান্তের এই অংশে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সীমান্তের ওপারে ভীমভের, সমাহনি, নিকয়ালের মতো পাক অধীকৃত এলাকা জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত ডেরা হয়ে উঠেছিল। এখান থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে সন্ত্রাস আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছিল। ফলে এই এলাকা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে ভারতীয় সেনা। প্রতিটি মুহূর্ত নজরদারি রেখে চলেছে সেনা। সঙ্গে রয়েছে সেই মূলমন্ত্র "দুশমন শিকার, হম শিকারি"।