'সবই ভগবানের ইচ্ছা', ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে আদালতের প্রশ্নে উত্তর রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার ম্যানেজারের
সবই ভগবানের ইচ্ছা। হ্যাঁ, ঠিক এই কথাটাই আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন দীপক পারেখ। কে এই দীপক পারেখ? তিনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি মরাবি ব্রিজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ওরেভার একজন ম্যানেজার। তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং অ্যাডিশনাল সিনিয়র সিভিলের বিচারপতি এম জে খানকে এই কথা বলেছেন। এও বলেছেন এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, কিন্তু কেন এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটল তার উত্তরে তিনি বলেন এসব নাকি ভগবানের ইচ্ছা। তাই এমন হয়েছে।
কী বলছে সরকার পক্ষের আইনজীবী?
এদিকে সরকার পক্ষের যে আইনজীবী রয়েছেন, তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে যখন ওই ব্রিজ সারাইয়ের কাজ হয় তখন ব্রিজের যে দড়ি যার উপরে এর পুরো ভার ধরে রাখার বিষয়টি নির্ভর করছে সেটাই বদলানো হয়নি। তিনি এও বলেছেন যে এই ঘটনার পিছনে মূল কারণ হল অ্যালুমিনিয়ামের পাত সেটা বদলে দেওয়া হয়েছিল। করে দেওয়া হয়েছিল কাঠের। আর সেটাও বেশ হালকা ছিল। ভার বহন করার ক্ষমতা এর কম ছিল।
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব
প্রসঙ্গত
স্থানীয়
ওরেভা
গ্রুপকে
রক্ষণাবেক্ষণের
দায়িত্ব
দেওয়া
হয়েছিল।
অনেক
আগেই
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করে
যে,
সিএফএল
বাল্ব,
দেওয়াল
ঘড়ি
এবং
ই-বাইক
তৈরি
করে
এমন
সংস্থাকে
কেন
শতাব্দী
প্রাচীন
এই
ঝুলন্ত
সেতুর
রক্ষণাবেক্ষণের
দায়িত্ব
দেওয়া
হল।
মোরবি
সেতু
রক্ষণাবেক্ষণের
চুক্তি
নিয়েও
ধোঁয়াশার
সৃষ্টি
হয়েছে।
ঝুলন্ত
সেতুটি
মেরামতের
জন্য
সাত
মাস
আগে
বন্ধ
করে
দেওয়া
হয়েছিল।
ছিল না ফিট সার্টিফিকেট
ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই ২৬ অক্টোবর গুজরাতি নববর্ষের দিন তা খুলে দেওয়া হয়। পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এই ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের জন্য খোলার বিষয়ে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী পৌরসভা কোনও ফিট সার্টিফিকেটও দেয়নি।
নয় জনকে গ্রেফতার
গুজরাতে মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত নয় জনকে গ্রেফতার করেছে। রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া সংস্থার দুই কর্মরত ম্যানেজার, দুই জন টিকিট ক্লার্ক, সেতুর সাম্প্রতিক মেরামতের সঙ্গে যুক্ত দুজন ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষী। রবিবার মোরবি সেতুতে প্রচুর লোকসমাগম হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ উঠেছে, সেতুটির যেখানে ১০০ জনের ধারণ ক্ষমতা, সেখানে ৪০০ জনকে টিকিট দেওয়া হল কেন।গুজরাত নির্বাচনের সামনে এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।গুজরাতে মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে অপরাধমূলক অবহেলা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।