নজরে দিল্লির পৌরসভা নির্বাচন, রাজধানীর বস্তি বাসিন্দাদের জন্য আবাসনের প্রকল্পকে হাতিয়ার বিজেপির
দিল্লির পুরসভা নির্বাচনে দরিদ্র বস্তিবাসীদের আবাসন প্রকল্পকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি
দিল্লির পৌরসভা নির্বাচনের আগেই কালকাজি এক্সটেনশনের বস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির পৌরসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পকে হাতিয়ার করা হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, গত চার দশকে কোনও রাজনৈতিক দল বা সরকার দিল্লির কালকাজি এক্সটেনশনের বস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে নজর দেয়নি। প্রসঙ্গত, আগামী ৪ ডিসেম্বর দিল্লির পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে।
বস্তিবাসী পুনর্বাসন বিজেপির নির্বাচনী হাতিয়ার
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যু হবে। বিজেপি দিল্লির বাসিন্দাদের কাছে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্র বস্তিবাসীদের আবাসনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করেছে। এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিল্লির নির্বাচনের সময় আপ দিয়েছিল। কিন্তু আপ নিজের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্ত বলেন, গত চার দশক ধরে কোনও সরকারই রাজধানীর বস্তি বাসিন্দাদের আবাসন দিতে পারেনি। তবে মোদী সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। একটি নিরাপদ ও স্বাস্থকর পরিবেশে দিল্লির বাস্তি বাসিন্দারা যাতে বাস করতে পারে, তার জন্য কেন্দ্র সরকার আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। দিল্লি বস্তির বাসিন্দাদের জন্য বহুতল ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আবাসনের পরিবেশ অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
নীরব আপ সরকার
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০২০ সালের নির্বাচনে দিল্লির দরিদ্র ও বস্তিবাসীদের আবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে দিল্লির বিজেপি প্রধান আদেশ গুপ্ত বলেন, গত এক দশক ধরে নরেলায় ৪০,০০০ ফ্ল্যাট তৈরি করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু কেজরিওয়াল দরিদ্র মানুষের জন্য একটি ফ্ল্যাটও বরাদ্দ করেনি। যদিও আপ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
মোদীর উদ্যোগে আবাসন পাচ্ছে বস্তিবাসীরা!
ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে বস্তির বাসিন্দাদের জন্য কালকাজি এক্সটেনশনে নতুন উদ্বোধন করা হাউজিং কমপ্লেক্সে ভ্রমণের আয়োজন করেছিল। দিল্লি বিজেপির সহ-সভাপতি সুনীল যাদব বলেন, 'আমরা দিল্লির সমস্ত বস্তিবাসীকে এই আবাসনগুলোকে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এবং দক্ষিণ দিল্লির অন্যান্য ওয়ার্ডের বস্তিবাসীরা ফ্ল্যাট দেখতে আসেন।' তিনি বলেন, 'আমরা শুধু বোঝাতে চাইছি, মোদী সরকার দিল্লির মানুষের জন্য কী করছে, তা তাঁরা বুঝতে পারুক।' কালকাজি এক্সটেনশনে নতুন উদ্বোধন করা হাউজিং কমপ্লেক্সে ভ্রমণের জন্য আসা বস্তিবাসীদের চা ও জলখাবারের আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। বিজেপির তরফে দরিদ্র বস্তিবাসীদের হাউসিং কমপ্লেক্স দেখানোর জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। লক্ষী নগরের বিজেপি বিধায়ক এবং দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র অভয় ভার্মা বলেছেন, এটি কেন্দ্র সরকারের একটি বড় প্রকল্প।
আপ সরকারের উদ্যোগ
কালকাজি এক্সটেনশনে ইন-সিটু পুনর্বাসন প্রকল্প ২০১১ সালে গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত এই প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ২০১৫ সালে দিল্লিতে আপ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কালকাজি এক্সটেনশনে ইন-সিটু পুনর্বাসন প্রকল্পকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। ২০১১ সালের পরিখ্যান অনুযায়ী দিল্লি ১১ শতাংশের বেশি মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন।
মালদ্বীপে বিদেশি শ্রমিকদের বাসভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত ৯ জন ভারতীয়