নিউ ইয়ারে প্রতি মিনিটে ৪১০০ অর্ডার, জীবনে এই প্রথম, টুইট জোম্যাটোর
নিউ ইয়ারে প্রতি মিনিটে ৪১০০ অর্ডার, জীবনে এই প্রথম, টুইট জোম্যাটোর
কোভিড–১৯ মহামারির কারণে এ বছর অনেকেই বাইরে পার্টি করার বদলে বাড়িতে বন্ধু–বান্ধব পরিবারদের নিয়ে আনন্দ করেছেন। ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের কাছে ৩১ ডিসেম্বর রাত হঠাৎ করেই খুব কঠিন সময়ের মুখোমুখি ফেলে দেয়, কারণ আচমকাই খাবার অর্ডারের চাহিদা বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র জোম্যাটোতে প্রতি মিনিটে ৩,২০০টির বেশি অর্ডার এসেছে।
এই প্রথমবার জোম্যাটোতে এত অর্ডার এসেছে
জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দর গোয়েল এক টুইটের মাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের অর্ডারের গতি সর্বোচ্চ, যা জীবনে প্রথমবার হয়েছে (প্রতি মিনিটে প্রায় ২৫০০ অর্ডার)। এটি ভারত বনাম পাকিস্তান দিবসকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর এখন সবে সন্ধ্যা ৬টা!আমি আশা করব আমাদের প্রযুক্তি জীবন এর মাধ্যমে কেটে যাবে।' এই টুইটের ৪৫ মিনিট পর প্রতি মিনিটে অর্ডার পৌঁছেছে ৩,২০০-তে।
পিৎজ্জা–বিরিয়ানির অর্ডার সবথেকে বেশি
তথ্যে উঠে এসেছে যে নতুন বছর উদযাপনে ভারতীয়রা ফুড ডেলিভ্যারি অ্যাপ থেকে পিৎজ্জা ও বিরিয়ানির অর্ডার সবথেকে বেশি দিয়েছে। গোয়েল বৃহস্পতিবার টুইটে বলেন, ‘বহু শহরে কার্ফু জারি ছিল, যার কারণে মানুষ বাড়ির ভেতরে ছিলেন এবং নিরাপদ হিসাবে আজকের রাতে ফুড ডেলিভারির চাহিদা তুঙ্গে উঠবে। আমি বিশেষ করে আমাদের গ্রাহকদের কাছে আর্জি জানাবো যে যদি সম্ভব হয় তাড়াতাড়ি অর্ডার দিয়ে দিন এবং শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করবেন না'। আরও একটি টুইটে গোয়েল বলেন, ‘ওপিএম (অর্ডার প্রতি মিনিট) ৩,৫০০। এখনও ১ লক্ষ লাইভ অর্ডার রয়েছে। ১ লক্ষ ফুড সরবরাহ এখন হচ্ছে রান্নাঘর থেকে ডেলিভারি বয়দের মধ্যে। এরকম আগে কখনও হয়নি।' গোয়েস লাইভ টুইট সেশন শেষ করেন যকড় তখন ওপিএম পৌঁছে গিয়েছে ৪,১০০-তে।
রাত্রিকালীন কার্ফুর নির্দেশ
দিল্লির বির্পযয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১ টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কার্ফুর নির্দেশ দিয়েছিল। গোটা রাজ্য জুড়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার পাঁচটা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কার্ফুর নির্দেশ দেয় ওড়িশা সরকার, যাতে নিউ ইয়ার ইভে উদযাপন প্রতিরোধ হতে পারে।
২২টি করে বিরিয়ানি প্রতি মিনিটে
বুধবার জোম্যাটোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে ২০২০ সালে প্রত্যেক মিনিটে তারা ২২টি করে বিরিয়ানি ডেলিভারি করেছে। পিৎজ্জা অর্ডারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসে পিৎজ্জা অর্ডারের সংখ্যা যেখানে ছিল ৪.৫ লক্ষ, নভেম্বরে তা বেড়ে হয় ১৭ লক্ষ।