বিরোধী রাজ্যগুলিকে অনুসরণ! বিধায়ক ঘুষকাণ্ডে বিজেপি তদন্তের দাবি তুলতেই সিবিআইকে নিয়ে অবস্থান বদল তেলেঙ্গানার
সিবিআইকে দেওয়া তদন্তের জন্য অনুমতি প্রত্যাহার করার তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি রাজ্য। তেলেঙ্গানা সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর জন্য সাধারণ সম্ময়তি প্রত্যাহার করা কথা জানিয়েছে। এর ফলে সিবিআই ইচ্ছা মতো মামল
সিবিআইকে দেওয়া তদন্তের জন্য অনুমতি প্রত্যাহার করার তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি রাজ্য। তেলেঙ্গানা সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর জন্য সাধারণ সম্ময়তি প্রত্যাহার করা কথা জানিয়েছে। এর ফলে সিবিআই ইচ্ছা মতো মামলার তদন্ত চালাতে পারবে না। ঘুষ দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগ উঠেছিল .বিজেপির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিল। সেই প্রেক্ষিতে এদিনের সিদ্ধান্ত যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে রবিবার
তেলেঙ্গানা সরকার সিবিআইকে নিয়ে সম্মতি প্রত্যাহারের বিষয়টি সম্পর্কে শনিবার হাইকোর্টকে জানিয়েছিল। রবিবার এব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৬ অনুসারে কোনও রাজ্যে সিবিআই-এর কাজ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রসচিব রবি গুপ্ত জানিয়েছেন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬-তে তেলেঙ্গানা সরকারের জারি করা সম্মতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে কোনও মামলার ক্ষেত্রে সিবিআইকে তেলেঙ্গানা সরকারের সম্মতি নিতে হবে। তবে রাজ্য সরকার সুপারিশ প্রত্যাহারের পরেও হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সিবিআই তদন্ত চালাতে পারে।
তেলেঙ্গানা দশম রাজ্য
সিবিআইকে নিয়ে সম্মতি প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তেলেঙ্গানা হল দশম রাজ্য। এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, কেরল, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং মিজোরাম সিবিআই-এর জন্য সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ
২০১৮-র নভেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু প্রথম এই সম্মতি প্রত্যাহার করেন। এরপর যেসব রাজ্য সিবিআই তদন্ত নিয়ে সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল তার মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গও। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২২-এর মার্চে মিডোরামের কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সিবিআইকে দেওয়া সম্মতি প্রত্যাহার করে। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সব রাজ্যকে সিবিআইকে দেওয়া সম্মতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি তখন অভিযোগ করেছিলেন, বিরোধীদের টার্গেট করতে কেন্দ্র তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে।
বিধায়ক ঘুষকাণ্ড নিয়ে তদন্ত
তেলেঙ্গানার
সরকারি
দল
টিআরএস
তাদের
চার
বিধায়ককে
ঘুষ
দেওয়া
অভিযোগ
তুলেছিল।
নিশানা
ছিল
বিজেপির
দিকে।
টিআরএস
অভিযোগ
করেছিল
মুনুগোদে
বিধানসভা
উপনির্বাচনের
আগে
বিজেপিতে
যোগ
দিতে
প্রত্যেক
বিধায়ককে
১০০
কোটি
টাকা
ঘুষের
প্রস্তাব
দেওয়া
হয়েছে।
যে
ঘটনায়
শনিবার
পুলিশ
তিনজনকে
গ্রেফতার
করেছে।
এই
ঘটনায়
বিজেপির
তরফে
সিবিআই
তদন্তের
দাবি
করে
হাইকোর্টে
আবেদন
করা
হয়।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা
বলছেন
তেলেঙ্গানার
মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রের
হস্তক্ষেপ
ঠেকাতে
সিবিআই-এর
সম্মতি
প্রত্যাহার
করেছেন।
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত, কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে! বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া একনজরে