পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুর বিরুদ্ধে ট্রায়াল চলবে, সিবিআইয়ের আর্জি মেনে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ফের বিপাকে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সিবিআই এই মামলায় লালুর বিরুদ্ধে ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছিল।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ফের বিপাকে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সিবিআই এই মামলায় লালুর বিরুদ্ধে ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছিল। সেই আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট সাড়া দিয়েছে। লালুপ্রসাদ সহ বাকী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৯০০ কোটি টাকার খাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় ট্রায়াল চলবে।
এর আগে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, গবাদি পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা একটিই ফলে বেআইনি টাকা লেনদেনের প্রতিটি মামলায় আলাদা অভিযোগ আনা যাবে না লালুর বিরুদ্ধে। সেই রায়কে সরিয়ে রেখে সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব রায় দিয়েছে।
লালুর পাশাপাশি জগন্নাথ মিশ্র, অন্যতম আমলা সজল চক্রবর্তীকেও মামলায় ট্রায়ালের মুখোমুখি হতে হবে। আগামী নয় মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এর আগে ট্রায়াল কোর্ট লালুপ্রসাদকে চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। এই মামলায় লালুকে এড়িয়ে যাওয়ায় এদিন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর পাশাপাশি কেন সিবিআই এতদিন বাদে এই ঘটনায় আদালতে আবেদন জানাল, তা নিয়ে সিবিআইকেও মৃদু ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ৯০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় লালুপ্রসাদের। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে মন্ত্রককে কাজে লাগিয়ে বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর টাকা তোলা হয়। লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানো ও নানা সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৩ এই মামলায় লালুপ্রসাদ-সহ ৩৮ জনকে দোষীসাব্যস্ত করে সাজা শোনানো হয়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এই মামলায় লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেয়।