জিএসটি নিয়ে কৌশলী নির্মলা, পেট্রোপণ্যের মূল্য নিয়ে চাপ বাড়ালেন রাজ্যগুলির ওপর
জিএসটি নিয়ে কৌশলী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির অদীনে আনা প্রসঙ্গে তিনি সিদ্ধান্ত ছেড়েছেন জিসটি পরিষদ এবং রাজ্যগুলির ওপর।
জিএসটি নিয়ে কৌশলী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির অদীনে আনা প্রসঙ্গে তিনি সিদ্ধান্ত ছেড়েছেন জিসটি পরিষদ এবং রাজ্যগুলির ওপর। কেননা, রাজ্যগুলি এই দুই পণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে থাকে। পাশাপাশি তিনি, বছরের চারবার জন, একবার জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকার পক্ষে। তাতে কাজের সুবিধা হবে বলেও মনে করেন তিনি।
জিএসটি পরিষদের বৈঠক হোক বছরে একবার
বর্তমানে জিএসটি পরিষদের বৈঠক হয় তিনমাস অন্তর, অর্থাৎ বছরে চারবার। সেখানেই কর কাঠামোর বাড়ানো কমানো নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তাতে সময় নষ্ট হয়। বছরে বারবার হিসেবের ঝক্কি পোহাতে হয় বলেও মনে করেন তিনি। রিফান্ডেও সমস্যা তৈরি হয়। এইসব ঝামেলা হঠাতে বছরে একবার জিএসটি পরিষদের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
রাজ্যের কাছেও হোক আর্জি
সাধারণভাবে কোনও শিল্পের তরফে কেন্দ্রের কাছে কর সমানোর জন্য আর্জি জানানো হয়। অর্থমন্ত্রী মনে করেন রাজ্যগুলির কাছেও সেই আবেদন করা যেতে পারে। কারণ জিএসটি পরিষদের বৈঠকে কর নিয়ে আবেদন তুলে ধরার দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির ওপরেও রয়েছে।
পেট্রোল-ডিজেলে জিএসটি নিয়ে রাজ্যের দিকে বল
কলকাতায় এসে পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির অধীনে আনা নিয়ে রাজ্যগুলির দিকেই বল ঠেলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেননা রাজ্যগুলি পুরনো ভ্যাটের হারে দুই পণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ কর আদায় করে থাকে। এই দুই পণ্য যদি জিএসটিতে আসে, তাহলে কর কমার পাশাপাশি রাজ্যগুলির আয়ও প্রচুর পরিমাণে কমবে। তেই পেট্রোল-ডিজেল জিএসটির অধীনে আসবে কিনা তা ঠিক করতে হবে রাজ্যগুলিকেই।
জিএসটিতে আয় বেড়েছে, দাবি নির্মলার
কলকাতায় এসে নির্মলা সীতারমন দাবি করেন, জিএসটি খাতে আয় কমেনি, বরং তা বেড়েছে। যদিও সরকারি হিসেব বলছে জিএসটি থেকে আয়ে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরকার। চলতি আর্থিক বছরের জন্য জিএসটি সংগ্রহে নতুন লক্ষ্যমাত্রা ধার্ষ করা হয়েছে।