বাজেট ২০২০: পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যে পরিকাঠামো খাতে ১০৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ
ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন প্রকল্পের অধীনে আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা হবে মোট ১০৩ লক্ষ কোটি টাকা। মোট ৬৫০০ প্রকল্প খুঁজে সেগুলিতে এই পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাবনা পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। পরিকাঠামো খাতকে আরও চাঙ্গা করে তুলতেই এই ঘোষণা।
সরকারের সাফল্যের খতিয়ান
শনিবার সংসদে পেশ করা হয় ২০২১ অর্থবর্ষের বাজেট। বাজেট উপস্থাপনের আগে তিনি মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও সরকার গঠনের জন্য বিশাল জনাদেশ পেয়েছিলেন। নতুন উদ্দমের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আমরা জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের জনগণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যেই নয় বরং আমাদের অর্থনৈতিক নীতির প্রতি বিশ্বাসের ফলেই আমাদের বেছে নিয়েছে।'
সরকারের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ
নরেন্দ্র মোদী সরকারের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল ভারতীয় অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উদ্ধার করা। পরিসংখ্যান মন্ত্রক পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, যা ২০১২-১৩ সালের পর থেকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে ধীর গতি। অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আরও জটিল করে তুলেছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি। ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ৭.৩৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার।
পরিকাঠামো খাতকে চাঙ্গা করতে হবে
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে ভারতকে পৌঁছাতে হলে উৎপাদন শিল্পে অগ্রগতির পাশাপাশি পরিকাঠামো খাতকেও চাঙ্গা করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে পরিকাঠামো খাতকে সুসংগঠিত ও দৃড় করে তোলা আবশ্যিক। এই লক্ষ্যে সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। সব দিক খতিয়ে দেখে ও দেশের ৭০টি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে মোট ১০২ লক্ষ কোটি টাকার পরিকাঠামোগত প্রকল্প শনাক্ত করতে পেরেছে।
গত পাঁচ বছরের খতিয়ান
গত ছয় বছরে সরকার পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ৫২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সরকার। নতুন যেই পাইপলাইন প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তাতে ৩৯ শতাংশ করে বিনিয়োগ করবে কেন্দ্র ও রাজ্য। বাকি ২২ শতাংশ বিনিয়োগ থাকবে প্রাইভেট সেক্টরের পক্ষ থেকে। এছাড়া ২৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে শক্তি সঞ্চার প্রকল্পে। ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প হবে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে। পাশাপাশি ১৪ লক্ষ কোটি টাকার কাজ হবে রেল খাতেও।