সিএএ ও এআরসি বিরোধিতা করতে বাড়ির বাইরে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিজেপিকে বার্তা দিন : ওয়েইসি
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদ উল মুসলিমিনের প্রধান প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি শনিবার রাতে সিএএ ও এআরসি বিরোধী জনগণদের নিজেদের বাড়ির বাইরে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর উপদেশ দিলেন। তাঁর দাবি এটাই হবে বিজেপিকে তাদের 'কালো আইন'-এর বিরুদ্ধে দেওয়া সব থেকে কড়া বার্তা।
'পতাকা উড়িয়ে বিজেপিকে বার্তা দিন'
হায়দরাবাদে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী এক সভায় আসাদউদ্দিন শনিবার বলেন, 'দেশর যেই ধর্মনিরপেক্ষ জনগণ এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে, তারা তাদের বাড়ির বাইরে দেশের পতাকা ওড়ান। এতে বিজেপির কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে যাবে। তাদের বানানো এই কালো আইন যে দেশের মানুষ মেনে নেয়নি তারা তা বুঝবে।'
|
সভায় সংবিধান পাঠ
শনিবার এই সভায় আগত মানুষের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের সংবিধান প্রিঅ্যাম্বেল পড়েন এআইএমআইএম প্রধান। এরপর সিএএ ও এনআরসি রিবোধী সব প্রতিবাদকে শান্তিপূর্ণ রাখার আবেদন করেন তিনি।
|
'এই লড়াই সবার'
তিনি সভায় বলেন, 'এই লড়াইটা শুধুমাত্র মুসলিম, দলিত, তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিদের জন্য নয়। আমি কী করে দেশদ্রোহী। আমি আমার ইচ্ছাতে ভারতীয়। আমি জন্মগত ভাবে ভারতীয়। তেমনই এই সকল মানুষ যারা আজ এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।'
|
'সংবিধান বাঁচাও'
এরপর সভায় আসা জনগণের প্রতি ওয়াইসি 'সংবিধান বাঁচাও দিবস' পালনের আহ্বান করেন। প্রসঙ্গত, নতুন পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯-এ শর্ত দেওয়া হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। এরই বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি মুসলিমদের এই আইন থেকে বাদ দেওয়ায় এটি দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত হেনেছে।