অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, আরও ক্ষতির আশঙ্কা! মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনে কথা
অসমে প্রবল বৃষ্টি। গত ৭২ ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ লক্ষের ওপর মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
অসমে প্রবল বৃষ্টি। গত ৭২ ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ লক্ষের ওপর মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এমনটাই খবর রাজ্য প্রশাসন সূত্রে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এনডিআরএফের নেতৃত্বে চলছে উদ্ধার কাজ।
হিমালয় থেকে নেমে এসে বাংলাদেশে ঢোকা ব্রহ্মপুত্র নদ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অসমের তার দু কূল ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৮০০ গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের জলে। শুধু ব্রহ্মপুত্রই নয়, আরও নটি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৭০ শতাংশের ওপর জায়গা জলের তলায়। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।
রাজ্য সরকারে বন্যা সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছে, গত তিন দিনে বিভিন্ন ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জনেনর মৃত্যু হয়েছে। ১০ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একটানা প্রবল বর্ষণে অসমের ৩২ টি জেলার মধ্যে ২৫ টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামনের তিনদিনের আরও বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি হওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের জল আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ হাজার মানুষকে ৬৮ টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে।
অসমের জল সম্পদমন্ত্রী কেশব মহান্ত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সংকট জনক। বন্যায় ইতিমধ্যেই চাবাগানেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। চা বাগান অধ্যুষিত আপার অসমের ধেমাজি এবং লখিমপুর এবং লোয়ার অসমের বনগাঁইগাঁও এবং বরপেটা প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
এদিকে বৃষ্টি থেকে মশা ও জলবাহিত রোগ সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে অসমবাসীকে। জানুয়ারি থেকে রাজ্যে প্রায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে।
রাজ্যের তরফে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার বৈঠক হয়। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও অসম-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।