অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, কাজিরাঙার ৯০% জলের তলায়! প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা
অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। একদিকে যখন রাজ্যের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ৩০ টি বন্যা কবলিত, অন্যদিকে তখন বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫।
অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। একদিকে যখন রাজ্যের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ৩০ টি বন্যা কবলিত, অন্যদিকে তখন বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন। কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সবমিলিয়ে ৪,১৫৭ টি গ্রামের ৪২.৮৭ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৩০ টি জেলার ১,৫৩,২১১ হেক্টর কৃষি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। অসমের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এই তথ্য দিয়েছে। গোয়ালপাড়া, মারেগাঁও, নগাঁও, হাইলাকান্দি জেলা থেকে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫।
সোমবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। রাজ্য সরকারের ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ নিয়েও কথা বলেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
অসমের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, নদী বাঁধ, রাস্তা, ব্রিজ, কার্লভাট-সহ পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, শোনিতপুর, গোলাঘাট, জোরহাট, বাঁকসা, ডিব্রুগড়, নলবাড়ি, হোজাই, মারেগাঁও, লখিমপুর, দারাং, নগাঁও, কামরূপস বরপেটা, ধুবড়ি, মাজুলি, করিমগঞ্জ, শিবসাগর, হাইলাকান্দি এবং দক্ষিণ সালমারা জেলায়।
[আরও পড়ুন: মুদির দোকানের মালিকের নিশানায় অভিনেত্রী অরুণিমা! অশ্লীল মন্তব্যের জেরে যা ঘটে গেল ]
এছাড়াও ব্যাপক ভাঙন ঘটেছে উদালগিরি, বরপেটা এবং শোনিতপুরে। রাজ্য জুড়েই ব্রহ্মপুত্র নদের জল ব্যাপকভাবে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সোনওয়াল বন্যা বিধ্বস্ত নলবাড়ি পর্যবেক্ষণ করেছেন। সোলমারায় বন্যা দুর্গতদের ক্যাম্পও পরিদর্শন করেছেন তিনি। সেনাবাহিনী এবং রাজ্য প্রশাসন ১৫০ জনকে উদ্ধার করে ওদালগুড়ি গ্রামে বন্যা দুর্গতের জন্য করা আশ্রয় শিবিরে পৌঁছে দেয়।
অন্যদিকে কাজিরাঙার বেশিরভাগ এলাকাই বন্যার জলের নিচে। বন্য জন্তুরা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। অসম বন দফতরের জারি করা বিপ্তপ্তিতে জানানো হয়েছে কাজিরাঙার প্রায় ৯০ শতাংশ জলের তলায়।