উৎসবের মরশুমে বন্যা সতর্কতা জারি চার রাজ্যে, আশঙ্কা বাংলায়ও
আর কদিন পরেই গোটা দেশে শুরু হবে নবরাত্রির উৎসব। তার আগে চার রাজ্যে চার রাজ্যে বন্যা সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় জল কমিশন।
আর কদিন পরেই গোটা দেশে শুরু হবে নবরাত্রির উৎসব। তার আগে চার রাজ্যে চার রাজ্যে বন্যা সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় জল কমিশন। বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং অসমের বিভিন্ন জায়গায় নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে।
বিহার
বিহারের বুড়ি গণ্ডক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। গত ৬ ঘণ্টায় জলস্তর ৩৬.৭৬ মিটার বেড়েছে। পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগ জনক। কয়েক মাস আগেই প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যা হয়েছিল বিহারের একাধিক জেলায়। নতুন করে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বেগে বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে। বিহারের খাঙ্গারিয়া জেলার অবস্থা সবচেয়ে সংকটজনক। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গণ্ডক নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। ভাগলপুর জেলার পরিস্থিতিও উদ্বেগজন। সেখানে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পাটনার কাছে শোন নদীর জলস্তর বিপজ্জনক মাত্রা অতিক্রম করেছে। বক্সারের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।
উত্তরপ্রদেশ
উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। গত ৬ ঘণ্টায় বালিয়ায় গঙ্গার জলস্তর ৫৯.৩৪ উচ্চতা দিয়ে বইছে। চিলাঘাটে যমুনা নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অযোধ্যায় ঘাঘরা নদীর জলস্তর ভয়ঙ্কর মাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলার অবস্থাও একই রকম। গঙ্গা ফুঁসতে শুরু করেছে এই জেলায়। হামিরপুর আরারিয়া জেলায় যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। আর কয়েকঘণ্টার মধ্যে পাড় ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রয়াগরাজের গঙ্গাও ফুঁসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য সরকার।
অসম
সদ্য বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে অসম। ফের বন্যার মুখে এই রাজ্য। অসমের সোনিতপুর জেলার জিয়া ভারালি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। জোরহাটে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। গোলাঘাট জেলার ধানসিড়ি নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নতুন করে বানভাসী হওয়ার আশঙ্কায় প্রহর গুণছেন অসমের একাধিক জেলার বাসিন্দারা।
রাজস্থান
মরু অঞ্চল রাজস্থানেও বন্যার ভ্রুকুটি। রাজস্থানের ধোলপুর জেলায় চম্বল নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করছে। আতঙ্কে প্রহর গুণছেন এই জেলার বাসিন্দারা। যেকোনও মুহূর্তে পাড় ভেসে যেতে পারে নদীর। নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।
আশঙ্কা বাংলাতেও
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফরাক্কা জলাধারে জল ছাড়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৬ ঘণ্টা জলস্তর মাপার পর প্রশাসনিক স্তরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
[ বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক দলীয় সুপ্রিমোর বার্তাতেই, দক্ষিণে শুরু হয়েছে অন্য সমীকরণ]
[জোট বাঁধলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে শিবসেনা-বিজেপির]