শেষমুহূর্তে বিমান বাতিল, টাকা ফেরত না দেওয়া, বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ
শেষমুহূর্তে বিমান বাতিল, টাকা ফেরত না দেওয়া, বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ
সোমবার থেকে ভারতে দেশিয় বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে। প্রায় দু’মাস পর এই পরিষেবা চালু হলেও বহু যাত্রী এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না যে অনেক নির্ধারিত বিমানই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ যে তাঁদের কোনও নোটিশ না দিয়েই বিমান বাতিল করা হয়েছে।
বিমানবন্দরে আসার পর যাত্রীরা বিমান বাতিলের কথা জানতে পারছে
বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদগামী বিমানের এক যাত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র আমাদের বোর্ডিং পাসগুলি স্ক্যান করা হচ্ছে বিমানবন্দরে প্রবেশের মুখে তারপর বলা হচ্ছে বোর্ডিং বাতিল হয়ে গিয়েছে।' সোমবার দিল্লি, মুম্বই ও অন্যান্য শহরে বিমান বাতিলের পর সকলেরই একই অভিযোগ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে দিল্লি থেকে ৮২টি বিমান বাতিল হয়েছে এবং যাত্রীদের অভিযোগ শেষ মুহূর্তে তাঁদের জানানো হয়েছে আগে থেকে না জানিয়ে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিমান বাতিল হওয়ার কারণ হল বেশ কিছু রাজ্য কেন্দ্রকে জানিয়েছে যে তারা এত তাড়াতাড়ি বিমান পরিচালনা করতে রাজি নয়। প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্র সরকারই জোর দিয়েছিল যে যাতে ৩১ মে-এর আগে দেশিয় বিমান পরিষেবা শুরু করা না হয়। অবাক করার বিষয় হল সেই কেন্দ্রই ২৫ মে থেকে বিমান পরিষেবা শুরু করার জন্য বলে। এর কারণ হিসাবে কেন্দ্র অবশ্য বলেছে বিমান সংস্থাগুলির চাপের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
ফেরত আসা যাত্রীদের কোয়ারান্টাইনে
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং ঘোষণা করেছিলেন যে উপসর্গ নেই এমন যাত্রীদের কোয়ারান্টাইনে থাকার দরকার নেই। যদিও প্রতিটি রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা নেহাত কম নয়, সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারগুলির ক্রমাগত এ নিয়ে প্রতিবাদের ফলে ১১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সিদ্ধান্তে নেয় যে ফেরত আসা যাত্রীদের বাড়িতে বা সরকারি জায়গায় কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে।
মুম্বইয়ে প্রতিদিন ৫০টি বিমান ওঠানামা, কলকাতায় ২৮ মে থেকে পরিষেবা
যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় যখন মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু সরকার কেন্দ্রকে জানায় যে বিমান পরিষেবা আর কিছুদিন পর থেকে চালু করা হোক। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ রবিবার টুইট করে বলেন, ‘রেড জোনে বিমানবন্দর চালু করা চূড়ান্ত বিবেচনাশূণ্য সিদ্ধান্ত।' যদিও পরে মহারাষ্ট্র সরকার মুম্বই বিমানবন্দরে ৫০টি বিমান ওঠা-নামার অনুমতি দেয়। মন্ত্রী নবাব মালিক টুইট করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার প্রতিদিন ২৫টি বিমান অবতরণ ও ২৫টি বিমান প্রস্থানের অনুমতি দিয়েছে।' পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করেছিল যে সোমবার থেকে বিমান পরিষেবা চালু করা না হোক, বরং ৩০ মে থেকে বিমান পরিষেবা চালু হোক। কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনার পর ঠিক হয় যে ২৮ মে থেকে কলকাতায় বিমান পরিষেবা চালু হবে।
বিমান বাতিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ
সোমবার দিল্লি বিমানবন্দরে প্রথম বিমান পুনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ভোর ৪টে ৪৫ মিনিটে, অন্যদিকে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে পাটনার উদ্দেশ্যে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে বিমান উড়ে যায়। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বহু মানুষ বিমান বাতিল ও তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও কারণ এবং টাকা ফেরত চেয়ে সরব হন। অনেকেই দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করে বিমানবন্দরে এসে বিমান বাতিল হওয়ার কথা জানতে পারেন। বেঙ্গালুরু থেকেও এদিন ন'টি বিমান বাতিল করা হয়। বহু যাত্রী বিমানবন্দরেই ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
আম্ফানের মধ্যেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ, সিইএসসির পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ বাবুলের