ব্যাহত বিমান পরিষেবা, বৃষ্টির পরও কেন বাতাসের মান নিম্নমুখী রাজধানীতে?
ঘন কুয়াশার জেরে দিল্লিতে ব্যহত হল বিমান পরিষেবা। দিল্লি বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে সকাল ৯টা থেকে তিন নম্বর টার্মিনালে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয় ১২টি ফ্লাইট।
ঘন কুয়াশার জেরে দিল্লিতে ব্যাহত হল বিমান পরিষেবা। দিল্লি বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে সকাল ৯টা থেকে তিন নম্বর টার্মিনালে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয় ১২টি ফ্লাইট। এই ফ্লাইটগুলিকে জয়পুর, লখনউ ও অমৃতসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় এই পরিস্থিতি বলে জানা গিয়েছে।
কুয়াশার দাপটে বিমান চলাচল ব্যাহত
কুয়াশার দাপটে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকেই। গতকাল সকালেও সাড়ে পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত একটিও বিমান ওঠানামা করেনি দিল্লি বিমানবন্দরে। তবে আজ বেলা বাড়তেও বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় কুয়াশা কাটেনি। এর জেরে বেলা বাড়তেও বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক গতিতে চলতে পাড়ছে না।
আগামীকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় জোড়-বিজোড় নীতি
এদিকে ঘন কুয়াশার জেরে বেহাল দশা দিল্লির রাজপথেও। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল বিপর্যস্ত। অন্তত দশটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে চলছে। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের তরফে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে গেছে। যার ফলে চালকদের সাবধানে গাড়ি চালানোর কথা বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালাতে বলা হয়েছে। এমনকি দিনের বেলাতেও গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের তরফে। সব দিক খতিয়ে দেখে তাই ফের আগামী কাল থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৯৯৯ ছাড়িয়েছে বহু জায়গায়
এদিকে জানা গিয়েছে দিল্লির পাশাপাশি নয়ডাতেও মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আজ সকালে বৃষ্টি হওয়ায় দূষণের মাত্রা গতকালের তুলনায় কম ছিল। তবে বেলা বাড়তেই বাতাসের মান নামতে থাকে। বাওয়ানা, জাহাঙ্গিরপুর, রোহিণী, সোনিয়া বিহার, শাহদরা, ওখলা, মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, আনন্দ বিহার, পাঞ্জাবি বাগ, পুসা, মন্দির মার্গ, মুন্ডকা, শ্রীনিবাসপুরি এবং জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৯৯৯ ছাড়িয়েছে। একিউআই ৯০০ ছাড়িয়েছে আরও বেশ কিছু এলাকায়।
বৃষ্টির পরও কেন বাতাসের মান নামছে?
আশা করা হয়েছিল বৃষ্টির পর দূষণের মাত্রা কমে যাবে। তবে দেখা গিয়েছে যে বাতাসের মান আরও কমে গেছে। উল্টোটা হল কেন? বিশেষজ্ঞদের মত, ভারী বৃষ্টির পরিবর্তে হালকা বৃষ্টি হওয়াতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর জেরে বাতাসে স্যাঁতসেতে ভাব তৈরি হয়েছে। এই কারণে বাতাসের ভাসমান ধূলিকণাগুলি আরও ঘনীভূত হয়ে গিয়েছে। তাতেই ঘোলাটে ভাব বেড়েছে। কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতাও।