অসমের বন্যায় মৃত কমপক্ষে ৮, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা
মৃত সাত জনের মধ্যে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে পাঁচিল ভেঙে। নারাকাসুরায় উদয়াচলে শুক্রবার রাতে একটি বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ায় একই পরিবারের এই তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদের নাম কঙ্কন বর্মন (৪৫), প্রতিমা বর্মন (১২) এবং তুলসি বর্মন (৮)। এই বাড়ির অন্যান্য সদস্য যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই বন্যা ও জলের তোড়ে ধসের ফলে বহু মানুষ আহতও হয়েছেন।
বাসন্তী শর্মা নামে এক মহিলা বামুনিমাইদামের কাছে ধসের জেরে মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন : (ছবি) টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত গুয়াহাটি, বিপর্যস্ত জনজীবন
শেষ ১৫ ঘন্টায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে অসমে বন্যাপরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শহরের অধিকাংশ অংশই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। অর্ধেক রাস্তায় জলে গিয়েছে জলের তলায়। গুয়াহাটির রাজগড় ও তরুণমগর এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের। পুলিশসূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতদের নাম মথুরানগর এলাকার ভাস্করজ্যোতি দাস (৪৮), দিসপুর সুপার মার্কেটের দীনেশ দাস (৫৫), জনপথের প্রফুল্ল দাস(৪৬) এবং দ্বারকানগরের সুরেন ভাড়ালি (৫৭)।
এই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগৈ। কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজধানীতে অবৈধ জবরদখলের ফলেই ফলেই বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। বহুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে গুয়াহাটিকে।
'দ্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স' (এনডিআরএফ) বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি উদ্ধার কার্য শুরু করে দিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ১০,০০০ উদ্বাস্তু এই ত্রাণ শিবিরে এসে উঠেছেন। নিমাটিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদীর উচ্চতা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।