একই দিনে প্রাণ হারালেন পাঞ্জাবের পাঁচ কৃষক, মৃত্যুর চোখ রাঙানিতেও অনড় প্রতিবাদীরা
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন কি না, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না পাঞ্জাবের কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে ভেঙে যাওয়া শরীর নিয়েও বহু কৃষক সামিল হয়েছেন দিল্লি সীমানার চলমান প্রতিবাদে। লক্ষ্য, কেন্দ্রের মন গলিয়ে সমাধান বে করা। তবে সরকার হয়ত মুখ তুলে চাইবে না। তাও অনড় কৃষকরা অবস্থানে বসে। এরই মধ্যে কৃষক মৃত্যু বেড়ে যাচ্ছে ক্রমেই।
মোট ২০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে
এখনও পর্যন্ত প্রতিবাদে সামিল হওয়া মোট ২০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবারই। প্রতিবাদী কৃষক গুরমীত শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে পারলেন না যে সরকার আদৌ মুখ তুলে চাইল কি না। তাঁকে বাদ দিয়ে এদিন দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরও দুই জন কৃষক।
বিক্ষোভরত অবস্থায় সোনিপত-সিঙ্ঘু সীমান্তে মৃত্যু হয় গুরমীতের
মৃত গুরমীতের বয়স সত্তর বছর। মঙ্গলবার বিক্ষোভরত অবস্থায় সোনিপত-সিঙ্ঘু সীমান্তে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়সের ভার পড়েছিল তাঁর শরীরে। চাষ করেই দিন গুজরান হত। ঠিকঠাকই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলি। কিন্তু এরই মধ্যে লকডাউন। তারপর বিতর্কিত কৃষি আইন। এই আইনের প্রতিবাদে সামিল হয়েই জীবন অবসান ঘটল এই কৃষকের।
গুরমীতের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ
মৃত গুরমীত পাঞ্জাবের মোহালির বাসিন্দা। আজ সিঙ্ঘু-সোনিপত সীমানায় উষা টাওয়ারসের সামনে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত কয়েকদিন ধরে সেখানেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন তিনি। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থানে যায়। গুরমীতের দেহ উদ্ধার করে সোনিপতের একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরও চার কৃষক
প্রায় কুড়ি দিন হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে দিল্লির বাইরে। পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। তাঁদেরই মধ্যে একজন ছিলেন গুরমীত। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। এছাড়া দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় বাড়ি ফেরার সময় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪জন কৃষক। এদের সবার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।