কলেজিয়ামের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত ৫ বিচারপতি! শপথ বাক্য পাঠ করালেন CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কলেজিয়াম নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে কাজে যোগ দিলেন ৫ জন নতুন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি এদিন তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
কলেজিয়ামের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দিলেন পাঁচ বিচারপতি। এদিন তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্ট কমপ্লেক্সের নবনির্মিত অডিটোরিয়ামে নতুন বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠানটি হয়।
এখনও বিচারপতি কম সুপ্রিম কোর্টে
এদিন পাঁচজন নতুন বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেওয়ার পরে অনুমোদিত ৩৪ জনের মধ্যে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। যে পাঁচজন বিচারপতি এদিন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পঙ্কজ মিথাল, পিভি সঞ্জয় কুমার এবং মনোজ মিশ্র যথাক্রমে রাজস্থান, মনিপুর এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। অন্যদিকে আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং সঞ্জয় করোল উভয়েই পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। একনজরে এই পাঁচ বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য।
বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল
যে পাঁচজন বিচারপতি এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পঙ্কজ মিথাল সিনিয়র মোস্ট। তিনি ১৯৮২ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক। এরপর ১৯৮৫ সালে মিরাট কলেজ থেকে আইন পাশ করেন। ওই বছরেই অ্যাডভোকেট হিসেবে উত্তর প্রদেশ বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করেন এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালে তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০০৮ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০২১ সালে তাঁকে জম্মু- কাশ্মীর ও লাদাখের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার
হায়দরাবাদের নিজাম কলেজ থেকে বাণিজ্যএ স্নাতক। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন পিভি সঞ্জয় কুমার। অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১০-এ বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। প্রথমে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ২০২১-এ তিনি মনিপুরের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান।
বিচারপতি মনোজ মিশ্র
বিচারপতি মনোজ মিশ্র আইনজীবী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেন ১৯৮৮ সালে। ২০১১ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১৩ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন তিনি।
বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ
১৯৯১ সালে বিহার বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেন আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ। তিনি সরকারি আইনজীবী হিসেবে কাদ করেছেন। ২০১১ সালে তিনি পাটনা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০২১-এ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ২০২২ সালে পাটনা হাইকোর্টে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বিচারপতি সঞ্জয় করোল
বিচারপতি সঞ্জয় করোল সিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি সিমলার সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক। পরে হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন। ২০০৭ সালে তিনি হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। এৎপর ২০১৮ ও ২০১৯-এ যথাক্রমে ত্রিপুরা ও পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আদানি ইস্যুতে সংসদে তৃতীয় দিনেও অচলাবস্থা! কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী আলোচনা চান না, প্রশ্ন বিরোধীদের