কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহকারী!সন্ত্রাসী যোগ অভিযোগে বরখাস্ত পাঁচ সরকারি কর্মচারী
সন্ত্রাস যোগ অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচ সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে,
উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মীরের শোপিয়ানে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন আহত কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসের ইকো সিস্টেমের ওপর প্রশাসন বড় আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গিদের মদত দেওয়া, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোকে সহায়তার অভিযোগে কাশ্মীরের পাঁচ জনকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বন্দুকের নিশানায় ফের কাশ্মীরি পণ্ডিত
শনিবার সকালেরদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত গুরুতর আহত হন। হামলার সময় তিনি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দ্রুত তাঁকে শোপিয়ান জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মুখে ঢাকা দিয়ে জঙ্গিরা আসেন। ওই কাশ্মীরি পণ্ডিতকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েচে, নিহত কাশ্মীরি পণ্ডিতের নাম পুরণ কৃশান। তিনি চৌদ্রিগুন্ড শোপিয়ানের বাসিন্দা।
জঙ্গিদের মদত সরকারি কর্মচারীদের
কাশ্মীরে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ সরকারি কর্মচারীরে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সংযোগ, মাদক-সন্ত্রাস সিন্ডিকেট চালানো এবং সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য নিষিদ্ধ সংগঠনগুলিকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। বিধানের ৩১১(২)(সি) ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কাশ্মীরে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে আরও অনেক সরকারি কর্মচারি যুক্ত রয়েছে বলে প্রশাসন সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কাশ্মীরের সরকারি কর্মচারী জঙ্গিগোষ্ঠীর কমান্ডার!
তানভির সেলিম দার ১৯৯১ সালে কাজে যোগ দেন। তানভির ব্যাটেলিয়ান সদর দফতরে কনস্টেবল হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তদন্তে তানভিরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। তানভির জঙ্গিদের আগ্নেয়াস্ত্র মেরামত করতে সাহায্য করত। তাদের জন্য তিনি বিস্ফোরকের জোগান দিতেন। তদন্তে উঠে এসেছে, তানভির লস্কর ই তইবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি কামান্ডার ও আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তদন্তে তানভিরের সঙ্গে শ্রীনগরে একাধিক হামলার যোগ পাওয়া গিয়েছে। এমএলসি জাভেদ শাল্লার হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তানভির বলে জানা গিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীরা
তানভির সেলিম দারের পাশাপাশি আরও চারজন সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফাক আহমেদ ওয়ানি, তিনি বারামুল্লা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বরখাস্ত হওয়া ইফতিখার আন্দ্রাবি প্ল্যান্টেশন সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ইরশাদ আহমেদ খানকে ২০১০ সালে জলশক্তি বিভাগে একজন অর্ডলি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আবদুল মমিন পিয়ারকে ২০১৪ সালে পিএইচই মহকুমায় সহকারী লাইনম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নানভাবে যুক্ত থাকা বা সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।