হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক স্ত্রীকে, আইন পাসের পর প্রথম ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রে
তিন তালাক সংসদের দুই কক্ষেই বিপুল ভোটে পাস করে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতিও বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করেছেন। ৩ বছরের কারাদণ্ডের মতো কঠিন সাজা রয়েছে এই আইনে। তিন তালাক বিল আইন হওয়ার পরেই প্রথম তিন তালাকের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। মহারাষ্ট্রে হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক দিলেন এক ব্যক্তি। তারপরেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে।

পুলিস জানিয়েছে, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযোগে বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই স্ত্রীকে তিন তালাক দেন স্বামী। ঠানের পুলিস কমিশনারেট জানিয়েছে বৃহস্পতিবার তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামীকে।
তাঁর স্ত্রী একজন ম্যানেজমেন্ট গ্র্যাজুয়েট। ২০১৫ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস।
মহিলার দাবি বিয়ের প্রথম দিন থেকেই তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর নির্যাতন চালাতেন। তাঁর স্বামী টাকা দাবি করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মহিলার বাবা জামাইয়ের দাবি পূরণ করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিেয় মোটরবাইক কিনে দিয়েছিলেন। তারপরেও অত্যাচার থামেনি। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিিন বাপের বাড়ি চলে যান। তারপর থেেক সেখানেই থাকতেন মহিলা। তারপরেই তিিন জানতে পারেন স্বামীর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে জেনেও বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তাঁর স্বামী এমনই অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। তাতে আপত্তি জানানোতেই হোয়াটস অ্যাপে তিন তালাক দেন তাঁর স্বামী।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তিনতালাক দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক যোগেশ পাটিল। পুলিস জানিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি আবু ধাবিতে সেলস ম্যানেজারের কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী দাবি করেছেন তাঁকে তিন তালাক দেওয়ার পর নতুন বিয়ে করে তাঁর স্বামী ভিখরোলিতে থাকেন। যদিও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।