এই প্রথমবার মদ্যপ্রদেশে হতে চলেছে দু’দিন ব্যাপী লঙ্কা উৎসব
এই প্রথমবার মধ্যপ্রদেশে হতে চলেছে লঙ্কা উৎসব। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ এই উৎসব চলবে কাসরাওয়াদ শহরে। যেখানে যোগ দিতে আসবেন বড় বড় কৃষক, খাদ্য ও কৃষিজ পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা, বৈজ্ঞানিক ও কৃষিবিদরা। জানা গিয়েছে, ছিন্দোয়ারা জেলার বিখ্যাত ভুট্টা উৎসব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, দু’দিনের লঙ্কা উৎসব উত্তর ও মধ্য ভারতের লঙ্কার রাজধানী হিসাবে খারগোন জেলা প্রতিষ্ঠার সূচনা করবে।
গুরুত্বপূর্ণভাবে, লাল রঙের ঝাল নিমারি লঙ্কা গত কয়েক দশকগুলিতে গুন্টুর (অন্ধ্র প্রদেশ) এবং বিহার লাল লঙ্কাকে একটি বড় প্রতিযোগিতা দিচ্ছে। অন্যদিকে বেদিয়ায় লঙ্কা মাণ্ডি (খারগোন) এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম লঙ্কা বাজার হিসাবে বিবেচিত করা হয়। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে খারখোন জেলাতে প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জুড়ে চাষ করা হয় ৬০ হাজার মেট্রিক টন নিমারি লাল লঙ্কা। মধ্য ভারতের প্রধান লঙ্কা চাষের জায়গাই হল এউ খারগোন জেলা।
খারগোন জেলা কালেক্টর জিসি দাদ বলেন, 'দু’দিনের এই লঙ্কা উৎসব কৃষি মন্ত্রী শচীন যাদবের মস্তিষ্কপ্রসূত। নিমারি লঙ্কাকে ব্র্যান্ড দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপই তিনি গ্রহণ করেন। নিমারি লঙ্কার সমস্ত দিককে তুলে ধরবে উৎসবের ১২০টি স্টল।’ বিভিন্ন অঞ্চলের লঙ্কা চাষিরা লঙ্কা ফসলে বিভিন্ন রোগ এবং কীটপতঙ্গ আক্রমণ মোকাবিলার উপায় জানার জন্য বিশেষ প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিশেষজ্ঞদের বৈজ্ঞানিক অধিবেশনগুলিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও, বীজ, সার এবং কীটনাশক প্রস্তুতকারকরা উদ্ভিদের স্বাস্থ্য ও উৎপাদনের গুণগতমানের সঙ্গে যাতে আপস না করে উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে লঙ্কা চাষীদের পরিচিত করতে তাদের স্টল স্থাপন করা হবে।
এই উৎসবটি দু’টি ভাগে ভাগ করা হবে। উদ্বোধনী অধিবেশন সামগ্রিক উৎপাদন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে কভার করবে। অন্যদিকে প্রযুক্তিগত অধিবেশনটিতে উদ্ভিদ সুরক্ষা, সেচ ব্যবস্থাপনা, কম্পো ফার্মিগেশন ম্যানেজমেন্ট, রফতানির সুযোগ, লঙ্কার প্রক্রিয়াকরণ, প্রক্রিয়াজাত পণ্যের শংসাপত্র, প্রগতিশীল কৃষকদের বক্তব্য এবং প্যানেল আলোচনার বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।