মার্চের পর প্রথম ১-এর নীচে নামল ‘আর ভ্যালু’, করোনা প্রতিরোধে আশা যোগাচ্ছে যে রাজ্যগুলি
দৈনন্দিন করোনা আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই মোটা আক্রান্তের সংখ্যাও ৬১ লক্ষ ছুঁইছুঁই। ভারতে উপরে আছে শুধুমাত্র আমেরিকা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই অবস্থা চলতে থাকলে সামগ্রিক করোনা আক্রান্তের বিচারে খুব দ্রুত আমেরিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বের ১ নম্বর জায়গা দখল করে নেবে ভারত। এমতাবস্থায় সরকারি পরিসংখ্যান বলছে নতুন করে আশা যোগাচ্ছে ৫ রাজ্যের আর ভ্যালু।

কী এই রিপ্রোডাকটিভ ভ্যালু ?
করোনা ভাইরাসের প্রজনন সংখ্যাকেই মূলত আর ভ্যালু বা রিপ্রোডাকটিভ ভ্যালু বলা হয়। একজন সংক্রামিত ব্যক্তির দ্বারা গড় সংক্রমণের হিসাব করতেই এই আর ভ্যালু যাচাই করেন বিশেষজ্ঞরা। সহজ ভাষায় এখজন করোনা আক্রান্ত আর সংক্রমণের পর আর কতজনকে করোনার কবলে ফেলছেন তা বোঝা যায় এই আর ভ্যালু যাচাইয়ের মাধ্যমে।

মার্চের পর প্রথম ১-র নীচে নামল আর ভ্যালু
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে গত সপ্তাহ থেকেই আর মূল্য বা করোনার প্রজনন রেটে অনেকটাই পারাপতন লক্ষ্য করা গেছে। সূত্রের খবর, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই এই সমস্ত রাজ্য আর ভ্যালু ১-এর নীচে নেমে যায়। নয়া হিসেব অনুযায়ী মার্চ মাসের পর এই প্রথম ভারতে আর ভ্যালু-র হার ১ এর নীচে নামল।

মুম্বই, পুনে, চেন্নাই, কলকাতাতেও কমছে আর ভ্যালু
এদিকে সদ্য এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশনের (আর ভ্যালু) এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সের গবেষকেরা। মুম্বই, পুনে, চেন্নাই, কলকাতা এবং বেঙ্গালুরুর মতো শহর গুলিতেও আর ভ্যালুর পরিমাণ সাম্প্রতিক কালে ১.১ থেকে কমে ০.৯-এ নেমে গেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা। এর ফলে করোনা প্রকোপ যে অনেকটাই কমছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে ফের বাড়ছে সংক্রমণ
তবে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে গত কয়েকদিনে ফের এই মান বাড়তে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সের সিতাভ্রা সিনহা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই আর ভ্যালু বাড়তে বাড়তে যদি একটা সময়ে কমতে শুরু করে, তখন বুঝতে ধীরে ধীরে কমছে করোনা প্রকোপ। তবে এই ক্ষেত্রে আর ভ্যালুর পারাপতনে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে বলেও জানাচ্ছেন তারা।

কেমন আছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ ?
এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যা ভাবে বাড়লেও। আর ভ্যালু ১-এর নীচে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এখান থেকেই তাদের ধারণা সংক্রমণ বাড়লেও একজন আক্রান্তের থেকে অন্যান্য ব্যক্তিদের সংক্রামিত হওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমেছে এই রাজ্য গুলিতে। কিন্তু এই হার ধরে রাখতে সাধারণ মানুষ যাতে করোনা বিধি মেনে চলেন সেই বিষয়েও সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপির পতাকা ঊর্ধ্বে রাখার চেষ্টা করবেন! আর কী বললেন আপ্লুত মুকুল রায়